গোটা দেশেই এখন গণপিটুনি নিয়ে উদ্বিগ্ন সবাই। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছিলেন দেশের ৪৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। এরপর বাংলাতেও গণপিটুনি আটকাতে বিধানসভায় নতুন বিল পাশ করান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতেই কাজ হল। আসানসোলের সালানপুরে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ১৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এদিনই তাঁদের আদালতে পেশ করা হয়।
গতকাল সকালে আসানসোলের সালানপুরের বেঞ্জামারি এলাকায় চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, তিন যুবককে ইতঃস্তত ঘুরে বেড়াতে দেখেন স্থানীয়রা। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, কথায় অসঙ্গতিও পান তাঁরা। এরপরই চোর সন্দেহে ওই তিন জনকে তাড়া করেন এলাকাবাসী। দুজন পালিয়ে গেলেও একজনকে ধরে ফেলেন তাঁরা। তারপরই শুরু হয় উত্তম মধ্যম গণপ্রহার।
রাস্তায় ফেলে ওই যুবককে লাঠি, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। চলতে থাকে বেপরোয়া কিল, ঘুষি, লাথিও। রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়ে ওই যুবক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। কার্যত পুলিসের সামনেই চলতে থাকে মারধর। পরে পুলিশ ওই যুবককে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তারপরই আজ সকালের মধ্যে ১৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আসানসোলের সাংসদ বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয় এই বিষয়ে এখনও অবধি মুখ খোলেননি। এই নিয়ে গত সাত দিনে চারটি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে আসানসোলে। তাই এই ঘটনা কড়া হাতে দমন করতে তৎপর হয়ে উঠেছে প্রশাসন।