ধর্ম নিয়ে রাজনীতি ভারতের ইতিহাসে নতুন নয়। মোদী সরকারের আমলে সেই প্রবণতা বেশি দেখা দিচ্ছে। নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মী সমর্থক পর্যন্ত এই রেশ অব্যাহত। এইবার সেইরকমই একটি পোস্ট করে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ উঠল পাঁচজনের বিরুদ্ধে। সেই অপরাধে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে নদিয়ার হোগলবেড়িয়া থানার পুলিশ। ধৃতদের বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগর সিজেএম আদালতে তোলা হয়। তাদের মধ্যে তিনজনকে আপাতত পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতে থাকতে হবে। বাকিদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ধৃতেরা বিজেপির সঙ্গে যুক্ত বলেই দাবি স্থানীয়দের।
প্রসঙ্গত, নদিয়ার হোগলবেড়িয়া থানা এলাকার বাসিন্দা সতীনাথ সিংহ রায়ের বড় ছেলে সমীরণ কর্মসূত্রে অন্যত্র থাকে। দিনকয়েক আগে ছুটিতে এ রাজ্যে আসে সে। অভিযোগ, সেই সময় মুসলমান ধর্ম এবং ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর পোস্ট করে সে। সেই পোস্টটি তার বাবা সতীনাথ, ছোট ভাই দীপঙ্কর এবং এলাকার যুবক তীর্থঙ্কর সরকার, তীর্থ বিশ্বাস, বিমান ঘোষাল শেয়ারও করে। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানা পোস্টটি ভাইরাল হতে বেশি সময় নেয়নি। খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ওই পোস্টটি নজরে আসে স্থানীয় বাসিন্দা আসরাফুল খান-সহ দু’জনের। সঙ্গে সঙ্গে হোগলবেড়িয়া থানায় যান তাঁরা। প্রমাণস্বরূপ পুলিশকে ওই পোস্টটি দেখিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত শুরু করে। দিনকয়েকের মধ্যেই সতীনাথ সিংহ রায়, দীপঙ্কর সিংহ রায়, তীর্থঙ্কর সরকার, তীর্থ বিশ্বাস, বিমান ঘোষাল নামে ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের মধ্যে তীর্থঙ্কর সরকার, তীর্থ বিশ্বাস, বিমান ঘোষাল ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্টের কথা পুলিশি জেরায় স্বীকার করে নেয়।
ধৃতদের বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগর সিজেএম আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের মধ্যে সতীনাথ সিংহ রায়, দীপঙ্কর সিংহ রায়কে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। তীর্থঙ্কর সরকার, তীর্থ বিশ্বাস, বিমান ঘোষালকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।