স্মৃতি ইরানির পর দিলীপ ঘোষ। বাংলাতে এনআরসি করে ২ কোটি লোককে তাড়ানো হবে বলে হুঙ্কার ছাড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। দিলীপ বলেন, ‘আসামের ধাঁচে বাংলাতেও এনআরসি হবে। তাতে প্রায় দু’কোটি মানুষ বাদ যাবে। বিদেশি নাগরিকেরা এসে রাজ্য তথা দেশের সম্পদ নষ্ট করছে। তা রুখতেই এনআরসি প্রয়োজন’।
দিল্লীতে বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ওই বৈঠকে অমিত রাজ্যে সদস্য সংগ্রহ অভিযানের খতিয়ান নেন। লোকসভা ভোটে জঙ্গলমহল ও উত্তরবঙ্গে ভাল ফল করলেও কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় ফল ভাল হয়নি বিজেপির। এখনও দেখা যাচ্ছে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়ায় সদস্য আশানুরূপ ভাবে বাড়ছে না। এই সমস্যা কাটাতে বিকল্প পথ খুঁজবে দল। প্রার্থী তালিকা তৈরির কাজও দ্রুত শুরু করতে চায় দল। ঠিক হয়েছে, প্রতি মাসে রাজ্যে সাংগঠনিক প্রস্তুতির পর্যালোচনা হবে। রাজ্যে বিজেপির কর্মসূচির বিরুদ্ধে ‘পুলিশের দমননীতি’র কথা জানানো হয় অমিতকে।
অমিতের সঙ্গে বৈঠকের আগে দিলীপের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ‘শোভন-বৈশাখী’ প্রসঙ্গ উঠবে কি না। দিলীপ বলেন ‘প্রাইভেট বিষয়।’ দিল্লীতে বিজেপির সদর দফতর ঘুরে গিয়েও ফের তৃণমূলে থেকে যাওয়া দেবশ্রী রায় প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘বিজেপি সদর দফতর এখন রাজনৈতিক পর্যটনের জায়গা। অনেকেই আসেন। ভবিষ্যতে আরও অনেকে আসবেন।’ মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁর তিক্ততার সম্পর্ক উড়িয়ে দিয়ে দিলীপের প্রতিক্রিয়া, ‘এই তো দু’জনে বিমানে গল্প করতে-করতে এলাম। সব সংবাদমাধ্যমের মনগড়া কাহিনি’।