মোদী সরকারের দ্বিতীয় দফার প্রথম ১০০ দিনে অর্থনীতির দফারফা। ভারতের শেয়ার বাজার থেকে উড়ে গিয়েছে বিনিয়োগকারীদের লগ্নী করা সাড়ে ১২ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ।
অর্থনীতির হাল আসলে কেমন তাঁর অনেকটা আঁচ পাওয়া যায় শেয়ার বাজারে। ৩০ মে মোদী সরকার শপথ নেয়। তার আগের দিন বাজার বন্ধ হওয়ার সময় বিএসই–তে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলির মোট বাজারমূল্য ছিল ১,৫৩,৬২, ৯৩৬.৪০ কোটি টাকা। আর ১০০ দিন পর গতকাল বাজার বন্ধ হওয়ার সময় অঙ্কটা কমে দাঁড়ায় ১,৪১,১৫,৩১৬.৩৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ সাড়ে ১২ লক্ষ কোটি টাকা উবে গেছে। এই ১০০ দিনে সেনসেক্স নেমেছে ৫.৯৬ শতাংশ বা ২,৩৫৭ পয়েন্ট, আর নিফটি নেমেছে ৭.২৩ শতাংশ বা ৮৫৮ পয়েন্ট।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের কর্পোরেট সংস্থাগুলির শরীর স্বাস্থ্যের হাল ভাল নয়। সংস্থাগুলির আয়ের পরিমাণ কমেছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আর ভারতে লগ্নীতে উৎসাহ দেখাচ্ছেন না। ন্যাশনাল সিকিওরিটিজ ডিপোজিটরি লিমিটেড (এনএসডিএল)-এর তথ্য জানাচ্ছে, গত ৩০ মে থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ভারতের বাজারে তাঁদের ২৮ হাজার ২৬০ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার শেয়ার বেচে দিয়েছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের অর্থনীতির এই মন্দার সময় যা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল, সেই বিদেশি বিনিয়োগে ঘাটতি দেখা দেওয়ার জন্য দায় যদি কারও থাকে, তা হলে তা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর তাঁর প্রথম বাজেটে বিদেশি বিনিয়োগের উপর করের বোঝা খুব বেশি বাড়িয়ে দিলেন নির্মলা। ফলে, ভারতের শেয়ার বাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীরাই সবচেয়ে বেশি করে শেয়ার বেচেছেন মোদী সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর।