যখনই ব্যর্থতা এসেছে আবার নতুন উদ্যোমে জ্বলে উঠেছে ইসরো। ১৯৬৯ থেকে ২০১৯। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে বিজ্ঞানের নানা উপহার সারা বিশ্বের সামনে হাজির করে চলেছে ইসরো। শুরুতে সর্বাধিক ৪০ কেজি ওজনের উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হয়েছিল ইসরো। সেখান থেকে আজ চন্দ্রযান ২ চাঁদের কক্ষপথে উড়ে গিয়েছিল ৪০০০ কেজি ওজন নিয়ে। চন্দ্রপৃষ্ঠে বিক্রমের সঠিক অবতরণ সফল না হলেও আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই জাপানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে চন্দ্রাভিযানের পরিকল্পনা করেছে ইসরো।
ঠিক হয়েছে, পরবর্তী অভিযানে ল্যান্ডারের সঠিক অবতরণের জন্য জাপানের থেকে প্রযুক্তিগত সাহায্য নেবে ভারত। সেই অভিযানে ব্যবহার করা হবে জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির তৈরি স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেশন অফ মুন প্রযুক্তি।
মঙ্গলবার ভারতে জাপানের রাষ্ট্রদূত কেনজি হিরামাৎসু জানিয়েছেন, ‘চন্দ্রাভিযানে ভারতের ধারাবাহিকতা বজায় থাকার বিষয়ে আমরা নিশ্চিত। সেই পথে তার সঙ্গী হতে চায় জাপানও।’ দানা গিয়েছে, ২০২০ শকের গোড়ার দিকে এই যৌথ অভিযান বাস্তবায়িত হবে।
যৌথ চন্দ্রাভিযানের উদ্দেশে ২০১৬ সালে মউ স্বাক্ষর করে দুই দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে সেই অনুযায়ী কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ২০১৮ সালে যৌথ অভিযান সংক্রান্ত প্রাথমিক সমীক্ষার কাজও সম্পূর্ণ হয়েছে।
জানা গিয়েছে, পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের নির্দিষ্ট স্থানে নিখুঁত ল্যান্ডিংয়ের জন্য বিশ্বে স্লিমের মতো প্রযুক্তি এর আগে আবিষ্কৃত হয়নি। এই প্রযুক্তি ছাড়াও ১০০ মিটার উচ্চতা থেকে সফ্ট ল্যান্ডিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় নেভিগেশন গাইডেন্স সেন্সর ও গাইডেন্স অ্যালগোরিদমসও জোগাবে জাপান।