গত ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন মুক্তি পেয়েছিল সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের আগামী ছবি ‘গুমনামী’র টিজার। আর তারপর থেকেই চলছে বিতর্ক। প্রথমেই রণংদেহি মেজাজে আসরে নেমেছিলেন নেতাজি গবেষকদের একাংশ। তাদের তরফ থেকে সৃজিতকে পাঠানো হয়েছিল আইনি নোটিস। তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছিল নেতাজির পরিবারের সদস্য তথা অধ্যাপক সুগত বসুর তরফেও। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘উত্তর প্রদেশের ক্রিমিনাল গুমনামীকে নিয়ে যাঁরা ছবি বানিয়েছেন, তাঁরা হয় মূর্খ নয় শয়তান।’ আর এবার সৃজিত বেনজিরভাবে ফরোয়ার্ড ব্লকের রাজ্য দফতরে গিয়ে ‘গুমনামী’র ট্রেলার লঞ্চ করার পরদিনই তাঁকে ‘সুযোগসন্ধানী’ বলে আক্রমণ করলেন নেতাজির ভাইঝি তথা অধ্যাপিকা চিত্রা বসু, ভাইপো তথা অধ্যাপক দ্বারকা বসু।
প্রসঙ্গত, ‘গুমনামী’ নিয়ে হাজার বিতর্ক হলেও তাতে পাত্তাই দেননি সৃজিত। বরং বরাবরই জানিয়েছেন, আপত্তি এলেও তা শোনার প্রয়োজন বোধ করছেন না তিনি। রবিবারও তিনি দাবি করেন, তাঁর ছবি তথ্য নির্ভর। ফরোয়ার্ড ব্লকের অফিসে ওদিন উপস্থিত ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লক রাজ্য সম্পাদক নরেন চ্যাটার্জি, বিশিষ্ট গবেষক পূরবী রায়, যুবনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এতেই সৃজিতের ওপর ক্ষুব্ধ চিত্রা বসু, দ্বারকা বসুরা প্রেস বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘বারবার নিজের কথা নিজেই ভেঙেছেন পরিচালক। প্রথমে তিনি বলেছিলেন তাঁর ছবির ভিত্তি চন্দ্রচূড় ঘোষ ও অনুজ ধরের বই কোনানড্রাম অবলম্বনে। অথচ সেই তিনিই সেন্সর বোর্ডে জানালেন, তাঁর ছবি মুখার্জী কমিশনের রিপোর্টের ওপর আধারিত। আসলে সৃজিত সুযোগ সন্ধানী।’ ছবির প্রদর্শন যাতে না করা হয়, সেই দাবিও তোলা হয়েছে তাঁদের তরফ থেকে।