ভরসন্ধেয় তৃণমূলের পার্টি অফিসে দুষ্কৃতীদের হামলা। মুর্শিদাবাদে ফের খুন শাসকদলের নেতা। ঘটনার জেরে সোমবার নওদার বালি গ্রাম পঞ্চায়েতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নিমাই মণ্ডল নামে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির। সেইসময়ে দলীয় কার্যালয়ে বসেছিলেন নিমাইবাবু। দুষ্কৃতীরা পার্টি অফিসে ঢুকে পরপর গুলি চালায় অঞ্চল সভাপতিকে লক্ষ্য করে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তৃণমূল নেতা। ঘটনায় বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে শাসকদল।
সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধেবেলা পেশায় স্কুল শিক্ষক তথা নওদা থানার বালি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি নিমাই মণ্ডল পার্টি অফিসে বসে কর্মীদের সঙ্গে মিটিং করছিলেন। মিটিং শেষে সন্ধ্যা আটটা নাগাদ নমাজ পড়তে যান কয়েকজন কর্মী। অভিযোগ সেই সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে পার্টি অফিস লক্ষ্য করে বোমাবাজি শুরু করে।বোমাবাজি শুরু হলে সেখান থেকে ভয়ে সবাই পালিয়ে যান। তখনই দুষ্কৃতীরা পার্টি অফিসে ঢুকে নিমাই মণ্ডলকে পরপর ছটি গুলি করেন বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি। তারপরেই দুষ্কৃতীরা বাইকে করে পালিয়ে যায়। গুলির আওয়াজ শুনে ছুটে আসেন তৃণমূল কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিমাইবাবুকে নিয়ে যাওয়া হয় আমতলা গ্রামীন হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে, একই সময়ে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে তৃণমূল অফিসে চলল গুলি-বোমা। জখম হলেন দুই তৃণমূল নেতা। রাত ন’টা নাগাদ মধ্যমগ্রামের কদমতলা বাজার এলাকায় তৃণমূল পার্টি অফিসে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলিতে বিদ্ধ হন তৃণমূল নেতা বিনোদ সিং। গুরুতর জখম হন আরও একজন। বোমার স্প্লিন্টারে আহত হন তিনি। ঘটনায় রাখাল নন্দী নামে স্থানীয় দুষ্কৃতীর দিকে অভিযোগের তির।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মধ্যমগ্রাম পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কদমতলা বাজারে তৃণমূল কার্যালয়ে তখন আরও অনেকের সঙ্গে বসেছিলেন যুব নেতা বিনোদ সিং। মূলত তাঁকে লক্ষ্য করেই গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ছোঁড়া হয় বোমাও। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিনোদ সিংকে ভরতি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। বোমার স্প্লিন্টার ছিটকে গুরুতর আহত হয়েছেন দীপক বোস নামে আরেক তৃণমূল নেতা। দুষ্কৃতীরা তিনটি মোটরবাইকে করে কদমতলা বাজারে আসে বলে জানা গিয়েছে। তারা তৃণমূল কার্যালয় লক্ষ্য করে ৭-৮টি বোমা ছোঁড়ে। তারপর পার্টি অফিসে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। ঘটনায় বিজেপির হাত দেখছে তৃণমূল।