পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কমিটি এবার এনআরসি নিয়ে জোরদার আন্দোলনে নামতে চলেছে। এবিষয়ে সোমবার জেলা পরিষদের সভাকক্ষে জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, সাংসদ মানস ভুঁইয়া, মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, জেলার তৃণমূল বিধায়করা, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী।
আসামে নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ গেছে ১৯ লক্ষ ৬ হাজার মানুষের নাম। যারা দীর্ঘদিন ধরে সেখানকার বাসিন্দা। বাদ পড়েছে কার্গিল যুদ্ধের নায়ক থেকে ইসরোর বিজ্ঞানী জিতেন্দ্রনাথ গোস্বামীর নাম।
সাংসদ মানস ভুঁইয়া বলেন, “১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যেসব বাংলাভাষী হিন্দু ও মুসলিম দীর্ঘদিন ধরে অসমে বসবাস করছেন কেন্দ্রীয় সরকার তাদেরকেই অভারতীয় আখ্যা দিয়ে বিতাড়িত করার চেষ্টা করছে। লক্ষ লক্ষ মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। এর থেকে দুর্ভাগ্য স্বাধীন দেশে আর কী হতে পারে?”
এনআরসি ছুটদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলে বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক মুখ ফুটে উঠেছে। এর প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই তিনি গর্জে উঠেছেন। নিজে আন্দোলনে নেমেছেন। দলের সমস্ত শাখা সংগঠনকে আন্দোলনে নামতে বলেছেন। বাংলায় কখনও এনআরসি মেনে নেওয়া হবে না। যেভাবেই হোক তৃণমূল একে রুখবে।
বৈঠক শেষে সাংসদ মানস ভুইঁয়া জানান, “দেশের আইন যখন দেশেরই মানুষের সর্বনাশ করে, গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শাসকদল যদি নাড়া দেয়, তবে দেশ কোন পথে চলবে? এরজন্য দেশের মানুষকেই প্রতিবাদে সরব হতে হবে। সোচ্চার হতে হবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে জোরদার করতে হবে”। ইতিমধ্যেই ব্লকে ব্লকে বিধায়করা এবং ব্লক সভাপতিরা এনআরসি নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। জেলার মানুষের মনে বিজেপি এনআরসি–র যে ভয় ধরিয়ে দিয়েছে তা দূর করতেই তৃণমূলের সমস্ত স্তরের নেতা, কর্মী, সমর্থকরা বাড়ি বাড়ি যাবেন। মানুষকে বোঝাবেন। প্রচারপত্র দেবেন। এতে লেখা থাকবে এনআরসি–র ভয়ানক, ক্ষতিকর দিক গুলি।