ক্রমাগত খারাপ পারফরম্যান্স। সেটা আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা ভারতের বিরুদ্ধে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ। কোনো জায়গাতেই সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিম। প্রশ্ন উঠে গেল নেতৃত্ব নিয়ে। আর সেখানেই এইবার নেতৃত্বের বদল করা হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের। এতদিন টেস্ট ও ওয়ান ডে ক্রিকেটে ক্যারিবিয়ানদের নেতৃত্ব দিতেন জেসন হোল্ডার। টি-২০ ক্যাপ্টেন ছিলেন কার্লোস ব্রাথওয়েট। হোল্ডার টেস্ট ক্যাপটেন্সি ধরে রাখলেও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নতুন অধিনায়ক নির্বাচিত হলেন কায়রন পোলার্ড।
এবার থেকে ওয়ান ডে ও আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্যাপ্টেন্সি করতে দেখা যাবে পোলার্ডকে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের কথা মাথায় রেখে হোল্ডারকে বাড়তি চাপ থেকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ক্যারিবিয়ান বোর্ড। অন্যদিকে ব্রাথওয়েটের নেতৃত্বে খুশি না-হওয়ায় তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১০ দলের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯ নম্বরে শেষ করায় হোল্ডারের থেকে ওয়ান ডে নেতৃত্ব সরিয়ে নিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় পোলার্ডকে, যিনি ২০১৬ সালের পর থেকে কোনও ওয়ান ডে ম্যাচে মাঠেই নামেননি। এক্ষেত্রে লাল ও সাদা বলের ক্রিকেটে আলাদা অধিনায়ক নিয়োগের যুক্তিই পোলার্ডের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে সাহায্য করে।
ডেভ ক্যামেরন ক্যারিবিয়ান বোর্ডের প্রধান থাকাকালীন পোলার্ডের মতো ক্রিকেটারদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্বাচকরা। তবে রিকি স্কেরিট দায়িত্ব নেওয়ার পর ছবিটা বদলাতে শুরু করে। পোলার্ডকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডের রিজার্ভে রাখা হয়। যদিও চূড়ান্ত দলে তাঁর সুযোগ হয়নি। তবে ভারতের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে ডাক পান কায়রন। টোবাগোয় দু’দিন ধরে চলা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোর্ড অফ ডিরেক্টরসের বৈঠকের পর শেষমেষ পোলার্ডের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেওয়ার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে পোলার্ডের বিশ্বব্যাপী ঘরোয়া টি-২০ লিগ খেলার বিপুল অভিজ্ঞতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।