অ্যাশেজে নিজেদের দাপট বজায় রাখল টিম অস্ট্রেলিয়া। এই বছরের চতুর্থ টেস্ট হেলায় জিতে নিল ক্যাঙারু বাহিনী। আদ্যপ্রান্ত স্বমহিমায় খেলে গেছে স্মিথ-কামিন্সরা। ব্যাটে বলে রাজ করেছে তারা। সেই দাপটেই জয়টা এসে গেল অস্ট্রেলিয়া শিবিরে। ইংরেজ বাহিনীর সব চেষ্টাই ফিকে হয়ে গেছে কিংবদন্তি স্মিথের কাছে।
ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে ইংল্যান্ডকে ১৮৫ রানে উড়িয়ে দিয়ে সিরিজে ২-১ এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। ৩৮৩ রান তাড়া করতে গিয়ে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ ১৯৭ রানে। শেষ টেস্টে টিম পেনের দল যদি হারেও, তা হলে সিরিজ ড্র হবে। এবং আগের বার সিরিজ জেতার কারণে অ্যাশেজ থেকে যাবে অস্ট্রেলিয়ার দখলেই।
বল বিকৃতি কাণ্ডে তাঁকে এক বছরের জন্য সাসপেন্ড হতে হয়। মাঠে ফিরে যত বার ব্যাট হাতে নেমেছেন, তত বারই শুনতে হয়েছে ‘প্রতারক, প্রতারক’ বিদ্রুপ। বাইশ গজে জোফ্রা আর্চারের বাউন্সার তাঁকে শারীরিক ভাবে আহত করেছে। মাঠের বাইরের বিষাক্ত বিদ্রুপও নিঃসন্দেহে মানসিক ভাবে রক্তাক্ত করে দিয়েছে। কিন্তু সবসময়ই নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকেছেন স্টিভ স্মিথ। ধৈর্য ও অধ্যাবসায় মানুষকে কোন জায়গায় নিয়ে যেতে পারে তার জ্বলন্ত উদাহরণ তিনি।
কিন্তু স্মিথ কাউকে বুঝতে দেননি। দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে গিয়েছেন। আবেগের বিস্ফোরণটা দেখা গিয়েছে ইংল্যান্ডের শেষ উইকেট পড়ার সময়। দু’হাত শূন্যে তুলে হুঙ্কার দিচ্ছেন। আর স্কোরবোর্ড দেখাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়া অ্যাশেজ ধরে রাখল।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৮২ রান করার জন্য স্মিথই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন। কী রকম অনুভূতি হচ্ছে? ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে স্মিথ বলে গেলেন, ‘‘গত সপ্তাহে মাঠের বাইরে বসে দলের হার দেখতে ভাল লাগেনি। কিন্তু আজ যে অনুভূতি হচ্ছে, তা ভাষায় বোঝাতে পারব না। এই ছেলেদের সঙ্গে থাকতে পেরে রীতিমতো গর্ব হচ্ছে।’’
স্মিথ যদি ব্যাট হাতে নায়ক হন, তা হলে দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে বিধ্বংসী হয়ে উঠেছিলেন প্যাট কামিন্স। শনিবার শুরুতে দুই উইকেট তুলে নিয়েছিলেন এই পেসার। রবিবার, শেষ দিনেও শুরুতে দু’উইকেট তুলে নিলেন তিনি। সব মিলিয়ে ৪৩ রানে চার উইকেট। প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন তিন উইকেট। দুটো করে উইকেট নিলেন হেজলউড এবং নেথান লায়নও। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে জো ডেনলি (৫৩) সর্বোচ্চ রান করে যান।