কয়েকদিন আগেই রব উঠেছিল গো-মুত্রই ক্যান্সার চিকিৎসার অন্যতম ওষুধ। যার ফলে বহু মানুষের মধ্যে আলোড়ন তৈরি হয়েছিল। এই পন্থা যে ভুল, এও প্রমাণ করে দেয় ডাক্তাররা। তবে এবার দেশের মন্ত্রীর কথায় হতবাক হচ্ছে দেশবাসী। তাঁর কথায়, ক্যান্সার সারানোর চিকিৎসাকে আয়ু্স্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক খতিয়ে দেখছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে কিভাবে এমন কিছু অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তা হতবাক করে দিচ্ছে চিকিৎসক মহলকে।
আরও জানা যায়, ক্যান্সার চিকিৎসার ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে গোমূত্র ব্যবহারের কথা গুরুত্ব সহকারে ভাবছে, রীতিমতো এ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে কেন্দ্রের আয়ুশ মন্ত্রক। এমনই কথা জানা গেছে খোদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী চৌবের কাছ থেকে। তাঁর কথায়, বিভিন্ন ধরনের ওষুধ তৈরি করতে গোমূত্র ব্যবহার করা হয়। ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য চিকিত্সার ক্ষেত্রেও তা ব্যবহার করা হয়। দেশীয় প্রজাতির গরুর মূত্র প্রায়ই কাজে লাগানো হয়। আয়ুশ মন্ত্রক গুরুত্ব দিচ্ছে এব্যাপারে।
সরকার গোরক্ষা, গোসংরক্ষণেও কাজ করছে বলে জানান চৌবে। তিনি বলেন, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারের মতো ছোঁয়াচে, সংক্রমণযোগ্য নয়, এমন অসুখ গোটা বিশ্বের সামনেই চ্যালেঞ্জ। পুরোপুরি এসব অসুখ নির্মূল করা যায়, দাবি করতে পারব না, তবে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব। আর এজন্যই লাগাতার উন্নয়ন চালিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যের আওতায় ২০৩০ সালকে সময়সীমা সামনে রেখেছে। ক্যান্সার সারানোর চিকিত্সাকে আয়ু্স্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক খতিয়ে দেখছে বলেও জানান তিনি।
এখানেই উঠছে প্রশ্ন। দেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হয়ে কিভাবে এইরকম অবৈজ্ঞানিক কথা বলেন? দেশের মানুষকে ভুল পথে চালোনা করার ইঙ্গিতে স্তম্ভিত দেশের চিকিৎসক মহল।