আসামের জাতীয় নাগরিকপঞ্জী-র জেরে ১৯ লক্ষ মানুষের অস্তিত্ব বর্তমানে বিপন্ন। আর এই ১৯ লক্ষ মানুষের মধ্যে রয়েছেন ১৫ হাজার ভোজপুরি ভাষাভাষীর মানুষ। যারা প্রায় ৬৯ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৫০ সাল থেকে জীবন-জীবিকার জন্য উত্তরপ্রদেশ-বিহার থেকে এসে আসামে বসবাস করছেন। শুক্রবার এমনই তথ্য প্রকাশ করল অল আসাম ভোজপুরি যুব ছাত্র পরিষদ এবং অল আসাম ভোজপুরি সম্মেলনের তরফে।
দুই সংগঠনের তরফে প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, এই ১৫ হাজার মানুষদের মধ্যে বহু পরিবার ব্রহ্মপুত্র নদীর উত্তর উপকূলের উদালগিরি এবং দারং জেলার বাসিন্দা। যারা এনআরসি তালিকায় নিজেদের নাম নথিভূক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। কারণ তাদের অনেকেই বন্যায় হারিয়েছেন প্রয়জনীয় নথি। যার ভিত্তিতেই এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকায় তাঁরা নিজেদের নাম নথিভূক্ত করতে পারতেন।
দুই কন্যা ও এক পুত্রের বাবা ৪২ বছর বয়সি কানাইলাল চৌহ্বান উদালগুরি জেলার একজন দরিদ্র কৃষক। ১৯৭০ সালে কানাইলালের ঠাকুরদা সুখানন্দ চৌহ্বান আদালতের নির্দেশে তাঁরা যে জমিতে চাষ করেন সেই জমি-সহ যে বাড়িতে থাকেন সেই বাড়িটির জমির পাট্টা পান। তারপর থেকে বিহারের মাটি ছেড়ে তাঁরা আসামেই বসবাস করেন। কিন্তু ৩১ অগস্ট আসামের জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর চূড়ান্ত তালিকায় তাঁরা জানতে পারেন তাঁরা আসামের নাগরিক নন।