সমস্যায় পড়েছেন? কেউ আপনাকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেছে? তাহলে ‘দিদিকে বলো’। গোটা বাংলা জুড়ে এটাই এখন মুশকিল আসানের নয়া মন্ত্র। অনিল কপূর অভিনীত ‘নায়ক’ সিনেমায় যেমন যে কোনও অভাব-অভিযোগ নিয়ে ফোন আসত একদিনের মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। আর সেই ফোন পেয়েই অকুস্থলে ছুটে গিয়ে সমস্যার সমাধান করতেন তিনি। সম্প্রতি সেই কায়দাতেই রাজ্যবাসীর নানা সমস্যার সমাধান করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগ ও মতামত জানতেই চালু হয়েছে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচী। তবে শুধু রাস্তাঘাট ও সরকারি অন্যান্য প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়া বা কাটমানির অভিযোগই নয়। এবার ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তের সমস্যা নিয়েও দিদিকে বলো’র নম্বরে নালিশ জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
প্রসঙ্গত, সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার কবলে পড়ে জিরো পয়েন্ট লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বহুদিনের। ছেলেমেয়েদের স্কুল কলেজে যাতায়াত ও অন্যান্য কাজে বেড়ার এপারে আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে বিধি নিষেধে প্রাণ ওষ্ঠাগত তাঁদের। সম্প্রতি উন্মুক্ত হিলি সীমান্ত ও তার আশপাশের এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে মোদী সরকার। সীমানা চুক্তি অনুযায়ী সীমান্তের জিরোপয়েন্ট থেকে দুইশো গজ দূর দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। এর ফলে কৃষকদের বহু জমি এমনকি হিলির বহু বাড়িঘর বেড়ার ওপারে পড়ে যাবে। যা নিয়ে ইতিমধ্যে হিলি ও তার আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন।
তাই এলাকার মানুষের দাবি তাঁদের চাষের জমি ও বাড়িঘর বাঁচিয়ে বেড়া দেওয়া হউক। এব্যাপারে দিদিকে বলো নম্বরে ফোন করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, বাংলার অন্যান্য এলাকার মতো তৃণমূলের দিদিকে বলো’র প্রচার কর্মসূচী শুরু হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলিতেও। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বুড়া হিলি এলাকায় এই কর্মসূচীর সূচনা করেন ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি সুদীপ মোহান্ত। এলাকার প্রায় সকল মানুষ তাতে অংশ নেন। সেখানে বসেই দিদিকে বলোর নির্দিষ্ট নম্বরে নিজেদের সমস্যার কথা জানান অনেকে। পাশাপাশি কাঁটাতারের বেড়ার জন্য জমি হারানোর আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন তাঁরা। সকলেরই দাবি বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সাথে কথা মুখ্যমন্ত্রী।