গঙ্গার তলা দিয়ে যাবে মেট্রো। দেশের ‘যমজ’ শহর কলকাতা-হাওড়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত করার লক্ষ্যে এমনই পদক্ষেপ নিয়েছিল কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন বা কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ। ভারতে এমন প্রকল্প এই প্রথম। তাই দেশজুড়ে, এমনকি বিদেশ থেকেও মিলেছিল প্রশংসা। তাতে মেট্রোর আত্মবিশ্বাসও বেড়েছিল। কিন্তু কাল হল সেই আত্মবিশ্বাসই। গোটা বউবাজার অঞ্চলের কাছেই মেট্রো এখন যেন সাক্ষাৎ মৃত্যুদূত। তবে বউবাজার বিপর্যয়ের জেরে এবার আতঙ্কে দিন গুণছে হাওড়ার নয় নয় করে ৪০০টি বাড়ি। ওই ৪০০টি বাড়িকে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করে নোটিস দিয়েছে হাওড়া পুরসভা।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে হাওড়া ময়দান থেকে, হাওড়া স্টেশন হয়ে গঙ্গার নিচে দিয়ে সুড়ঙ্গ প্রবেশ করেছে শহর কলকাতায়। কিন্তু বউবাজারে বিপর্যয় এবার রাতের ঘুম কেড়েছে হাওড়া ময়দান সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের। প্রাচীন শহর হাওড়ায় বহু পুরনো বাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে বহু বাড়ির জরাজীর্ণ দশা। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। মাটি বসে যাওয়ায় হেলে পড়েছে কয়েকটি বহুতলও। বউবাজার বিপর্যয়ের পর থেকেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এই সমস্ত বাড়ির বাসিন্দারা। সকল বাড়ির বাসিন্দাদের দাবি, মাঝে মধ্যেই বাড়ি কেঁপে ওঠে।
এরইমধ্যে এবার ৪০০ বাড়িকে বিপজ্জনক চিহ্নিত করে নোটিস দিল হাওড়া পুরসভা। পাশাপাশি তাদের তরফে জানানো হয়েছে, এইসমস্ত বাড়ির ক্ষেত্রে প্রোমোটারদের সঙ্গে ভাড়াটের সমস্যা অথবা শরিকি বিবাদ রয়েছে। রয়েছে আইনি জটিলতাও। যার জেরে এই মুহূর্তে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। ফলে নানা কারণে বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করতে পারছে না পুরসভা। পাশাপাশি বাসিন্দাদেরও প্রশ্ন, এই অল্প সময়ে তারা বাড়ি ছেড়ে কোথায় যাবেন। কিন্তু এ কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
