বাঁধ গড়তে সবুজে পড়তে চলেছে আঘাত। ঝাড়খণ্ডের পালামৌ টাইগার রিজার্ভে মণ্ডল ড্যাম তৈরির জন্য কাটা পড়তে চলেছে ৩ লক্ষেরও বেশি গাছ। এই খবর পাওয়ার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন পরিবেশবিদরা।
কয়েকমাস আগেই প্রবল খরার কবলে পড়েছিল ঝাড়খণ্ড সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। এক ফোঁটা জলের জন্য হাহাকার শুরু হয়েছিল মধ্য ভারতের বিশাল অংশে। জানা গিয়েছিল, বছর বছর ভয়াবহ খরা বা অতি বৃষ্টির নেপথ্যে রয়েছে নির্বিচার অরণ্য নিধন। মণ্ডল ড্যামের পুনরুজ্জীবনে ফের সেই পথেই হাঁটছে সরকার।
২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকার মণ্ডল ড্যামের পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে অরণ্যের মধ্যে ১ হাজার হেক্টর জমি বরাদ্দ করে। পরিবেশবিদদের দাবি, এই ১ হাজার হেক্টর এলাকা, পুরোটাই পড়ছে টাইগার রিজার্ভের বাফার এলাকায়। সরকারের এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন বন্যপ্রাণ আধিকারিক প্রদীপ কুমার। তাঁর দাবি, বিপুল পরিমাণ গাছ কাটা পড়লে তার ভয়াবহ প্রভাব পড়বে সমগ্র এলাকার বাস্তুতন্ত্রে। তিনি বলছেন, রেল ও সড়ক তৈরির ফলে টাইগার রিজার্ভ এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবার সেখানে বাঁধের পুনরুজ্জীবনের কাজ শুরু হলে তার ভয়াবহ পরিণতি হবে।
অল ইন্ডিয়া টাইগার এস্টিমেশন (এআইটিই) এর ২৯ শে জুলাই প্রকাশ করা রিপোর্টে পালামৌ টাইগার রিজার্ভে বাঘের উপস্থিতি নথিভুক্ত হয়নি। শুধুমাত্র এই কারণ দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ গাছ কেটে ফেলা উচিত কিনা তা নিয়ে উঠছে গুরুতর প্রশ্ন।
মণ্ডল বাঁধ প্রকল্পের জন্য টাইগার রিজার্ভের ৩,৪৪,৬৪৪ টি গাছ কাটা পড়বে বলে সূত্রের খবর। ঝাড়খণ্ডের জলসম্পদ দফতর গাছ কাটার অনুমতি পেয়ে গিয়েছে। তাদের দাবি, এই কাজের জন্য বন দফতরের কাছে ইতিমধ্যেই ৪৬১ কোটি টাকা জমাও দেওয়া হয়েছে।