বারবার ইতিহাসের প্রত্যাবর্তন সম্ভব নয়। বলা ভাল, প্রত্যাবর্তন হতে দিলেন না সেরেনা উইলিয়ামস। বরং সমস্ত প্রতিকূলতার বিপক্ষে গিয়ে নিজের জোরে ফিরে আসাই বোধহয় সবচেয়ে বড় প্রত্যাবর্তন। জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে বাঁ পায়ের গোড়ালি ঘুরে যাওয়ায় হেরে যান মার্কিন তারকা। প্রবল যন্ত্রণার মাঝেই ক্যারোলিনা প্লিসকোভার বিরুদ্ধে হেরে বিদায় নেন তিনি।
রবিবারও যেন সেই ঘটনারই প্রত্যাবর্তন হতে যাচ্ছিল। তবে হতে দিলেন না সেরেনাই। পেত্রা মার্তিচকে দ্বিতীয় সেটের পঞ্চম গেমের সময় ব্যাকহ্যান্ড মারতে গিয়ে গোড়ালি মচকে যায়। মুখটা যন্ত্রণাক্লিষ্ট দেখালেও ১৫ সেকেন্ডের মধ্যেই উঠে পড়েন। পরের দুটি পয়েন্ট জিতে ব্রেকও করেন। এরপরই মেডিক্যাল টাইম–আউটে গিয়ে গোড়ালির চোটের শুশ্রূষা করান। ফিরে ম্যাচ জিততে অসুবিধা হয়নি। কোয়ার্টারে সেরেনার প্রতিপক্ষ চীনের ওয়াং কিয়াং।
চোট খুব একটা গুরুতর না হলেও, কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন সেরেনা। বলেছেন, ‘প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না চোট ভয়ঙ্কর কি না। এর আগে জানুয়ারিতে গোড়ালিতে দারুণ যন্ত্রণা হয়েছিল। নিজের মনকেই বলছিলাম, আর যেন চোট না পাই।’ কোচ প্যাত্রিক মোরাতোগ্লু অবশ্য জানিয়েছেন, খুব একটা অস্বস্তি হচ্ছিল না সেরেনার। তাঁর কথায়, ‘ভিডিওতে ঘটনাটা বারবার দেখেও মনে হয়নি সেরেনার খুব একটা অস্বস্তি হচ্ছে। তবে ওর কেমন লাগছে সেটা জানা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।’
এই মোরাতোগ্লুই গত বছরের ফাইনালে সেরেনাকে স্ট্যান্ড থেকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এদিন তিনি ফের জানিয়েছেন, দরকার হলে ভবিষ্যতে ফের সেই কাজ করবেন। মোরাতোগ্লুর কথায়, ‘ওই ঘটনা নিয়ে আমার কোনও আক্ষেপ নেই। আমার মনে হয়েছিল ও হেরে যাচ্ছে, তাই সবাই যা করে, সেভাবেই আমি চেয়েছিলাম ওকে সাহায্য করতে। পরেও যদি এই কাজ করতে হয়, আমি আবার সেটাই করব।’ সঙ্গে তিনি এও জুড়ে দিয়েছেন, ‘এটা টেনিসের সবথেকে বোকা নিয়ম। আমার মনে হয় এর জন্য কোনও শাস্তি পাওয়াই উচিত নয়।’