দুই স্কুলপড়ুয়া ছেলেমেয়ে। পরনে স্কুল ইউনিফর্ম, পিঠে স্কুল ব্যাগ। রোজদিন স্কুলে যাওয়া-আসা, নিয়মটা একই ছিল। কিন্তু একঘেয়ে নিয়মবদ্ধ জীবন কারই বা ভালো লাগে? তাই স্বাদ বদল তো আবশ্যিক! আর এই স্বাদবদলই রাতারাতি বদলে দিল ওই দুই ছাত্র-ছাত্রীর জীবন! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল তাঁদের এই স্বাদবদলের ভিডিও।
স্কুল থেকে ফেরা বা স্কুলে যাওয়ার সময় আচমকাই সামনের ছেলেটি কিছুটা দৌড়ে এসে লাফ দিয়ে শূন্যে এক পাক ঘুরে, নিখুঁত কায়দায় ফিরল মাটিতে। এবার সটান ভল্ট দিল পেছনের মেয়েটিও।পরপর দু’টি। আচমকা দেখলে মনে হবে, কিছু বুঝে ওঠার আগেই সিনেমার কোনও দৃশ্য চলে গেল চোখের সামনে, এতই নিখুঁত তাদের জিমন্যাস্টিক। আর প্রত্যক্ষদর্শীরা তুলে রাখলেন সেই দৃশ্য মোবাইলে আর সেই ভিডিওই ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়াতে।
এই ভিডিও দেখে মুগ্ধ হলেন রোমানিয়ার মহিলা জিমন্যাস্ট নাদিয়া কোমানিচি, যাকে জিমন্যাস্টিক দুনিয়ার সম্রাজ্ঞী বলা হতো এক সময়ে। তিনি টুইটারে ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘দুর্দান্ত’! পরে কমেন্ট সেকশনে তিনি আরও প্রশংসা করেছেন এই ভিডিওটির।
নাদিয়া কোমানিচির পোস্ট করা সেই ভিডিও আবার রিটুইট করেছেন কিরেণ রিজিজু। লিখেছেন, “নাদিয়ার মতো ব্যক্তিত্বের এই ভিডিও শেয়ার করা অত্যন্ত গর্বের। বাচ্চাগুলির পরিচয় জানতে খুব ইচ্ছে করছে আমার।” ছেলে-মেয়ে দু’টির কীর্তি দেখে মুগ্ধ আপামর নেটিজেনরা। টুইটারে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ দেখে ফেলেছেন এই ভিডিও। ভিডিওটি ঠিক কোথাকার, তা আপাত ভাবে বোঝা যায়নি। কিন্তু নেটিজেনদের কেউ কেউ বলছেন, এটা নাগাল্যান্ডে শ্যুট করা। সে যাই হোক, বিতর্ক দূরে সরিয়ে আপাতত নেটিজেনরা মজেছেন এই আশ্চর্য জিমন্যাস্টিকে।