আজ আসামে প্রকাশিত নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ১৯ লক্ষ মানুষ। তা নিয়ে উদ্বেগের ছায়া নেমে এসেছে গোটা আসাম জুড়ে। তার মধ্যেই এ বার দিল্লি থেকে উদ্বাস্তু তাড়ানোর কথা বললেন উত্তর-পূর্ব দিল্লির বিজেপি সাংসদ নেতা মনোজ তিওয়ারি। তাঁর দাবি, এ ব্যাপারে খুব শীঘ্র পদক্ষেপ করবে কেন্দ্রীয় সরকার।
শনিবার এনআরসি নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মনোজ তিওয়ারি বলেন, ‘‘দিল্লির পরিস্থিতি ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এখানেও এনআরসি চালু করা প্রয়োজন। যে সমস্ত বেআইনি শরণার্থীরা এখানে ভিড় করেছেন, তাঁরাই সবচেয়ে বিপজ্জনক। সময় এলে এখানেও এনআরসি চালু করব আমরা।’’
মনোজ তিওয়ারির এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেস। আদতে বিহারের বাসিন্দা মনোজ তিওয়ারিকে কটাক্ষ করে তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে লেখা হয়, ‘মনোজজির জন্ম বিহারের কৈমুরে, পড়াশোনা উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে, কাজ করেছেন মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে, উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর থেকে নির্বাচনে দাঁড়ান, দ্বিতীয় বার ভোটে লড়েন দিল্লি থেকে—তিনিই এখন দিল্লি থেকে শরণার্থী উদ্বাস্তু তাড়ানোর কথা বলছেন। এর চেয়ে বড় পরিহাস আর কীই বা হতে পারে!’
তবে মনোজ তিওয়ারি একা নন। বছরের শুরুতে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন গোটা দেশ থেকে ‘ঘুণপোকা উচ্ছেদ’-এ বার্তা দিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহও। তবে এ ভাবে বেআইনি উদ্বাস্তুদের আদৌ দেশছাড়া করা যাবে কিনা, তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে বিজেপির অন্দরেই।
দিল্লিতে এনআরসি চালুর পক্ষে এর আগেও সওয়াল করেছেন মনোজ তিওয়ারি। তবে আগামী বছর দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে কেজরীওয়াল সরকারকে ধরাশায়ী করতেই এনআরসি-কে হাতিয়ার করে তিনি জনসমর্থন জোগাড়ে নেমে পড়েছেন বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।