যাত্রা শুরু হয়েছে এখনও ১ মাস পেরোয়নি। এরমধ্যেই গোটা রাজ্যজুড়ে দারুণ সাড়া পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি। বহু মানুষ যেমন এই নম্বরে ফোন করে নানা অভাব-অভিযোগ জানিয়েছেন, তেমনই অনেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগে উপকৃতও হয়েছেন। এসেছে রাজ্যের উন্নতির জন্য অনেক পরামর্শও। আবার প্রশংসায় ভরে গিয়েছে মেসেজ বক্স। এবার ‘দিদিকে বলো’-তে ফোন করে সাহায্য পেলেন মোহনবাগানের এক প্রাক্তন ফুটবলার।
উত্তর ২৪ পরগনার গৌতম ভট্টাচার্য এককালে সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে ময়দানে ফুটবল খেলেছেন। কিন্তু তাঁর বর্তমান আর্থিক অবস্থা বেশ করুন। পেনশনের টাকায় কোনওক্রমে সংসার চলে তাঁর। এমন পরিস্থিতিতে স্ত্রীর কঠিন অসুখ ধরা পড়ায় সমস্যায় পড়েন গৌতমবাবু। অসুস্থ স্ত্রীর ওষুধের খরচ জোগাতে রীতিমতো হিমশিম হয়ে খেতে হচ্ছিল তাঁকে। হাসপাতালের বিল মেটাতেও পারছিলেন না।
প্রতিবেশীদের কাছে অনুরোধ করে একটু-আধটু সাহায্য পেয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না। যতদিন যাচ্ছিল, ততই তীব্র হচ্ছিল অর্থকষ্ট। এমনকী স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য সংসারের বেশিরভাগ জিনিসপত্র-সম্পত্তিও বিক্রি করে দিতে হয়েছে তাঁকে। সাহায্যের জন্য শেষমেশ গৌতমবাবু ফোন করেন ‘দিদিকে বলো’ নম্বরে। আর রাজ্যের অন্যান্য সাধারণ মানুষের মতো নিরাশ হতে হয়নি প্রাক্তন এই মোহনবাগান ফুটবলারকেও।
আবেদনের সঙ্গে সঙ্গেই আর্থিক সাহায্য করা হয় গৌতম ভট্টাচার্য ও তাঁর পরিবারকে। সেই সঙ্গে আগামীদিনে তাঁর স্ত্রীর চিকিৎসার সমস্ত রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়। রাজ্য সরকারের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন গৌতমবাবু। প্রতিশ্রুতিই যে সার নয়, তা বুঝিয়ে দিয়েছে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি। এমনটাই মত গঙ্গাপারের ক্লাবের প্রাক্তন ফুটবলারের।