বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে মোদী সরকারের বাজেটে যেমন তেমন কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। ঠিক তেমনই চাহিদার মানোন্নয়নেও কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে পারেনি কেন্দ্র। আর এই দুই কারণেই একদিকে যেমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে ভারতের শিল্প সংস্থাগুলোকে, তেমনি এই অবস্থায় কার্যত তলানিতে পৌঁছেছে পরিকাঠামো বৃদ্ধিও। সবমিলিয়ে দেশের অর্থনীতিতে ঘনীভূত মন্দার কালো মেঘ। যার প্রভাব পড়েছে গাড়ি বাজার থেকে বস্ত্রশিল্প সর্বত্রই। এবার আর্থিক মন্দার কারণে কোপ পড়ল এয়ারসেল কর্মীদের ওপর। সর্বসাকুল্যে ১২২৯ জন কর্মচারী কাজ করছিলেন এয়ারসেল-এ। এবার সেখানেও কাটছাঁট। মোট ১০০০ কর্মীকে ছাঁটাই করতে চলেছে এই টেলিকম সংস্থা।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছে না এই সংস্থা। অবশেষে ডেলোইট-এর কড়া নির্দেশিকা আসার পরই সংস্থার তরফে এমনতর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে খবর। রেসোলিউশন প্রফেশনাল ডেলোইটের তরফে বলা হয়েছে, ‘এই মুহূর্তে সংস্থার নতুন করে আর কোনও রোজগারই হচ্ছে না। অর্থাৎ ক্যাশ ফ্লো অপশন প্রায় বন্ধই। অ্যাসেট যা রয়েছে তাতে মেরেকেটে হয়তো খুবই কম সময়ের জন্য চলবে। সংস্থার আর্থিক অবস্থা আস্তে আস্তে এমন সংকটমূলক অবস্থানে পৌঁছচ্ছে যে, কর্মক্ষেত্রে সংস্থার বড় রদবদলের প্রয়োজন আছে।’ উল্লেখ্য, যে কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়েছে গত ১৬ আগস্টই তারা শেষবারের মতো অফিসে এসেছিলেন। এই ঘটনা থেকে আবারও প্রমাণিত যে, মোদী জমানায় ভয়াবহ সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে দেশের অর্থনীতি।