পূর্ব বর্ধমান প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই ল্যাংচার জিআই তকমা পেতে কোমর বেঁধে নেমে পড়লো জেলা প্রশাসন। জেলা শিল্প কেন্দ্র আলোচনায় বসে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণার জন্য বলা হবে এরমই ভাবা হচ্ছে। ল্যাংচার সঠিক ইতিহাস পাওয়া গেলে, এর গুণমান নিয়ে জিআই পাওয়া টা শুধু সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছেন জেলা প্রশাসনিক কর্তারা। পাশাপাশি জিআই পাওয়া ঐতিহ্যপূর্ণ মিষ্টি সীতাভোগ ও মিহিদানাকে বিদেশে রপ্তানির জন্য আরও বেশি দিন তাজা রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পূর্ব বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়ে যান, সীতাভোগ ও মিহিদানার মতোই ল্যাংচারও জিআই পেতে আবেদন করুন। তবে ল্যাংচার গুণমান বৃদ্ধি করার জন্য আটা দিয়ে না তৈরি করে ছানা দিয়ে করতে হবে। তবেই জিআই তকমা পাওয়া যাবে। এরপরই জেলা প্রশাসন ল্যাংচার জিআই পেতে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে। জেলা শিল্প কেন্দ্রের (ডিআইসি) জেনারেল ম্যানেজার অভিজিৎ কর জানান, ল্যাংচার জিআই পাওয়া নিয়ে ইতিপূর্বে ল্যাংচা অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে একটা বৈঠক করেছিলাম। আসলে জিআই পেতে গেলে প্রথমে সেই জিনিসের একটা ইতিহাস প্রয়োজন।সেই ইতিহাস জোগাড় করতে গিয়ে একটু সময় লাগছে। আমাদের জানা আছে এর ইতিহাস। তাতে একজন ভদ্রলোক মিষ্টির কারিগর ছিলেন। তাঁর একটা পা ছোট ছিল। স্বভাবতই তিনি একটু লেংচিয়ে লেংচিয়ে হাঁটতেন। সেই হাঁটা থেকেই ল্যাংচার নামকরণ করা হয়। তিনি জানান, এ ব্যাপারে আর একবার আলোচনায় বসতে হবে।এ নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে গবেষণা করা যায় সে নিয়ে ভাবা হচ্ছে।
এদিকে সীতাভোগ ও মিহিদানা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক মিষ্টি দুটির জিআই আমরা ইতিমধ্যেই পেয়েছি। এবারে গুণগতমান বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই ইতিমধ্যেই এই দুটি মিষ্টির নমুনা খড়্গপুর আইআইটি–র বিশেষজ্ঞদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা এর গুণমান পরীক্ষা করে দেখছেন। এবার তাঁরা চেয়েছেন সীতাভোগ ও মিহিদানা তৈরি করতে যে উপকরণ ব্যবহার করা হয় সেগুলি। আমরা তা খড়্গপুরে পাঠাব।’ বিদেশের বাজারে এই মিষ্টির চাহিদা আছে।