দুর্নীতির অভিযোগ যেন সবসময়ে লেগে থাকে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে। প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন বিজেপি নেতাদের কিছু না কিছু অনিয়মের ঘটনা সামনে আসে। এবার অন্ধ্রপ্রদেশের অমরাবতীতে ৬২৩ একর জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপি সাংসদ ওয়াই এস চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
অমরাবতী এবং তার আশেপাশের এলাকায় অভিযুক্ত ওই সাংসদ এবং তাঁর পরিবারের নামে যে ৬২৩ একর জমি আছে তা স্পষ্ট হয়েছে সরকারি তথ্যে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও তা ধোপে টেকেনি।
অভিযোগ, অমরাবতী রাজধানী হওয়ার আগেই নামমাত্র দরে সেখানকার জমি কিনে নেন চন্দ্রবাবু ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা। পুরো ব্যাপারটাই হয়েছে টিডিপি জমানায়। কাকপক্ষীতেও টের পায়নি। রাজ্য সরকারের দাবি, অমরাবতীকে অন্ধ্রের রাজধানী করার সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে চন্দ্রবাবু ঘনিষ্ঠ মহলে তা ফাঁস করে দিয়েছিলেন। তারপরই তাঁর ঘনিষ্ঠরা সামান্য দরে অমরাবতীর কৃষকদের জমি কিনে নেন। অমরাবতীর প্রায় সব জমি টিডিপি নেতা আর তাঁদের আত্মীয়দের নামে হওয়ার পর ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর চন্দ্রবাবু ঘোষণা করেন রাজধানী হবে অমরাবতী।
কৃষ্ণা জেলায় গুডিমেটলা গ্রামে ৫ লাখ টাকা একর দরে ১১০.৬ একর জমি কেনেন চৌধুরি। আরও জানা যায়, ১২০টি ভুয়ো কোম্পানি ফেঁদে বসে আছেন তিনি। একটি শিব সত্য পিগমেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড। কোম্পানির মাথায় যতীন কুমার। তাঁকে সামনে রেখে জমি কেনা হয়। ওই জমির দাম বেড়ে একর প্রতি ৫০ লাখ টাকা হয়েছে। এখানেই মুনাফা হয় ৫০ কোটির।
শুধু তাই নয়, ১১.৫৬ একর জুড়ে শিব জ্যোতি ফ্লাইকন প্রাইভেট লিমিটেড নামে সংস্থা গড়ে প্রচুর টাকা আত্মসাৎ করেছেন চৌধুরির ভাগনে ইয়েলামাচালি যতীন কুমার। পোন্নাভরম গ্রাম দত্তক নিয়ে চৌধুরি সেখানে নিজের বাবার নামে ১৩.৩৯ একর জমি কিনেছেন। দুই ভাই এবং স্ত্রীর নামে কিনেছেন ৩.৫ একর জমি। এস জে কে বায়োটেক ফার্মা প্রাইভেট লিমিটেডের নামে চন্দপুরম গ্রামেও প্রচুর জমি কিনেছেন। বিপদের আঁচ পেয়ে লোকসভা নির্বাচনের পরই বিজেপি–তে ভিড়ে যান ওয়াই এস চৌধুরি। তবে বিজেপিতে গিয়েও নিজের কুকর্ম ঢাকতে পারলেন না তিনি। সত্য ঠিকই সামনে এল।