২০২২ সালের মধ্যে ভারতকে প্লাস্টিকমুক্ত করতে আগামী ২ অক্টোবর থেকে দেশজুড়ে নিষিদ্ধ হতে চলেছে প্লাস্টিকের ব্যাগ, কাপ ও পানীয়ের স্ট্র। নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে চলেছে প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি ওই সমস্ত সামগ্রী উৎপাদন, ব্যবহার ও আমদানি প্রক্রিয়া। এই সমস্ত সামগ্রীই মাত্র একবার ব্যবহার করার জন্য তৈরি করা হয় এবং দূষণের অন্যতম প্রধান উপাদান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
গান্ধী জয়ন্তীতে সারা দেশে প্লাস্টিকের তৈরি মোট ৬টি পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন। তালিকায় ব্যাগ, কাপ, পানীয়ের স্ট্রয়ের সঙ্গে রয়েছে প্লাস্টিকের প্লেট, ছোট বোতল এবং কয়েক ধরনের স্যাশে। গবেষণায় জানা গিয়েছে, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের দূষণের শিকার হচ্ছে সারা বিশ্ব। এর মধ্যে ৫০% প্লাস্টিক গিয়ে জমা হচ্ছে সমুদ্রে, যার কারণে অসংখ্য জলজ প্রাণীর মৃত্যু ঘটানোর পাশাপাশি মানুষের খাদ্যশৃঙ্খলাকে ব্যাহত করছে।
প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ন্ত্রণে ভারতের কোনও সুশৃঙ্খল প্রক্রিয়া না থাকায় শহর ও গ্রামের সর্বত্র ব্যবহৃত প্লাস্টিক আবর্জনায় ছেয়ে গিয়েছে। অক্টোবরের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে বার্ষিক ১.৪ কোটি প্লাস্টিক ব্যবহারের প্রায় ৫%-১০% হ্রাস পাবে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। তবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার জেরে জরিমানা আদায়ের প্রক্রিয়া শুরু করতে আরও ৬ মাস সময় দেবে প্রশাসন। নতুন পরিস্থিতিতে মানুষকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার সুযোগ দিতেই এই সময় দেওয়া হবে।
প্লাস্টিক দূষণ রোধ করতে ২০২১ সালের মধ্যে প্লাস্টিকের তৈরি স্ট্র, ফোর্ক, ছুরি ও কটন বাডস নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। চিনের খাদ্য ব্যবসায় প্লাস্টিক ব্যবহারের উপর এর মধ্যেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।