তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় যাওয়ার পথে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ওপর জৌগ্রামে বাস দাঁড় করিয়ে টিএমসিপির কর্মী–সমর্থকদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় টিএমসিপি–র বেশ কয়েকজন কর্মী–সমর্থক জখম হয়েছেন। এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সারা রাজ্যের সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করে টিএমসিপি। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়–সহ বিভিন্ন এলাকায় টিএমসিপি–র পক্ষ থেকে এদিন সকালে ছাত্র সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পাশাপাশি দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরেন ছাত্র নেতারা। তার পরই কলকাতায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সমাবেশে যাওয়ার জন্য জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সড়ক ও রেলপথে যাত্রা শুরু করেন সংগঠনের কর্মী–সমর্থকেরা।
বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা জখম তৃণমূল কর্মীদের মেমারি হাসপাতাল ও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার পর মেমারি ও জামালপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। অবশ্য ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। এই ঘটনার পরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
টিএমসিপি–র জেলা সভাপতি মহম্মদ সাদ্দাম হোসেন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, “বিগত দিনে একুশে জুলাইয়ের জনসভায় কলকাতা যাওয়ার পথে ঠিক এইভাবেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গোটা রাজ্যজুড়ে তৃণমূল কর্মীদের বাঁধা দিয়েছিল। ঠিক একই কায়দায় এবারও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী ও সমর্থকদের কলকাতার সভায় যেতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে তারা। মেমারি থেকে বাস করে আমাদের সংগঠনের কর্মী–সমর্থকেরা কলকাতায় যাচ্ছিলেন। সেই সময় দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ওপর জৌগ্রামে ওই বাসটিকে দাঁড় করিয়ে সশস্ত্র হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত সেই দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন টিএমসিপি কর্মী ও সমর্থক গুরুতর জখম হয়েছেন। তাদের মেমারি ও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি”।