চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সুন্দরবনের দ্বীপ গুলিতে বিদ্যুদয়নের কাজ শেষ হয়ে যাবে। বুধবার বিধানসভায় রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল বিধায়ক সমীরকুমার জানার প্রশ্নের জবাবে একথা জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি জানান, ২০২০ সালের জানুয়ারির মধ্যে দিঘা পর্যটন কেন্দ্রে কেবল লাইনের কাজ শেষ হয়ে যাবে।
কেশপুরের তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহা এদিন জানান, তার বিধানসভায় কিছু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুৎমন্ত্রীর জবাব, “মুখ্যমন্ত্রী পরিস্কার নির্দেশ দিয়েছেন সব ঘরে আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আলোশ্রী প্রকল্প করেছেন।
গরীব মানুষদের বাড়িতে নিখরচায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে কোমর বেঁধে নামছে রাজ্য সরকার৷ এই কাজে ১৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে৷ এতে মোট ২ লক্ষ ৫৩ হাজার বাড়িতে নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে৷ সেই লক্ষ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজে নেমে পড়েছে বিদ্যুৎ দফতর। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে চাইছে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর। বিদ্যুৎমন্ত্রীর দাবি, চলতি বছরের মধ্যেই কোচবিহার, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের কিছু দ্বীপ এবং দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার কিছু দুর্গম এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে৷ সুন্দরবনের মতো প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য সৌর বিদ্যুতের মতো বিকল্প শক্তির সন্ধান করা হচ্ছে ৷
মূলত গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষের বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতেই এই এই প্রকল্প চালু হয়েছে৷ সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে রাজ্যের মোট ১৯ জেলায় গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছনোর কাজ সম্পূর্ণ৷ এর মধ্যে রয়েছে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা৷