বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে মোদী সরকারের বাজেটে যেমন তেমন কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। ঠিক তেমনই চাহিদার মানোন্নয়নেও কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে পারেনি কেন্দ্র। আর এই দুই কারণেই একদিকে যেমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে ভারতের শিল্প সংস্থাগুলোকে, তেমনি এই অবস্থায় কার্যত তলানিতে পৌঁছেছে পরিকাঠামো বৃদ্ধিও। যে কারণে অর্থনীতির গতি শ্লথ হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে একের পর এক সমীক্ষা। এবার দেশের কাজের বাজারের মলিন ছবিটা ফের ফুটে উঠল সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমির (সিএমআইই) রিপোর্টে। সেখানে বলা হয়েছে, ২৫ অগস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৯.০৭ শতাংশ। প্রায় তিন বছরে সাপ্তাহিক হিসেবে যা সব চেয়ে বেশি। অনিয়মিত বৃষ্টির জেরে শহরের (৮.৯ শতাংশ) তুলনায় ছবিটা আরও খারাপ গ্রামে (৯.১ শতাংশ)।
সিএমআইই-র রিপোর্ট বলছে, শুধু আগস্টের শেষে ৯ শতাংশ ছাড়ানোই নয়। চার সপ্তাহে বেকারত্বের হার ৭.৯ শতাংশ থেকে ৯.১ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। ২৫ অগস্ট ৩০ দিনের গড় হিসেব ধরলে তা ৮.২৫ শতাংশ। তাদের মতে, কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে, সেই মতো চাকরি তৈরি হচ্ছে না বলেই এই অবস্থা। এই পরিস্থিতির বদল না হলে আগস্ট শেষে সামগ্রিক ভাবে তা ৮.৫ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছতে পারে। প্রসঙ্গত, প্রথম দফায় প্রধানমন্ত্রী কুর্সিতে বসার আগে বছরে দু’কোটি কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদী। কিন্তু কর্মসংস্থান তো হয়ইনি, বরং তার পরে নোট বাতিল ও তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর জেরে কাজ হারান বহু মানুষ। এনএসএসও-র সমীক্ষায় বলা হয়েছিল ২০১৭-’১৮ সালে বেকারত্ব ছিল ৬.১ শতাংশ, যা ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ। ফাঁস হওয়া সেই রিপোর্ট নিয়ে প্রথমে আপত্তি তুললেও, পরে সেটিই গ্রহণ করেছে কেন্দ্র। তবে মোদী সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসেও বেকারত্বের সমস্যা পিছু ছাড়ছে না দেশের।