২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে ১৯-এর জুন থেকেই নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজির দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রখ্যাত নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরকে। তারপরেই জুলাই থেকে তাঁর পরিকল্পনায় শুরু হয় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচী। জনসংযোগ বাড়াতে তৃণমূলের এই কর্মসূচীই এখন সাড়া ফেলেছে গোটা রাজ্যজুড়ে। সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানের অন্যতম মাধ্যমের নামই বর্তমানে ‘দিদিকে বলো’। আর এই কর্মসূচী শুধুই যে চমক নয়, তা একমাসের পরিসংখ্যানেই দিনের আলোর মত স্পষ্ট।
শুরু হওয়ার পর থেকে ‘দিদিকে বলো’র সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছেন ১০ লক্ষ ৩৫০ জন মানুষ। তার মধ্যে ৮ লক্ষ ৬৩৫ জন ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছেন, ওয়েব সাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছেন ১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৭১৫ জন মানুষ। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের মধ্যে ৩২% মানুষ পরামর্শ দিয়েছেন, বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন ৪২% মানুষ, প্রশংসাসূচক বার্তা দিয়েছেন ২২% আর অন্যান্য নানা কারণে ফোন করছেন ৪% মানুষ।
গত ৩০ দিনে ২১৪টি জরুরি সমস্যার কথা জানানো হয়েছে ‘দিদিকে বলো’তে। যার মধ্যে ১৬১টি সমস্যার জরুরি ভিত্তিতে সমাধান করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই কর্মসূচীর কারণেই ৫০০ জন তৃণমূলের উপরের সারির নেতা ‘জন সংযোগ সভা’য় অংশগ্রহণ করেছেন এবং রাজ্যের প্রায় ১০২২টি গ্রামে রাত্রিবাস করেছেন সেখানকার গ্রামবাসীদের সঙ্গে।
তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছে, এই কর্মসূচীর কথা প্রচার করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছেন তাঁরা। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই কর্মসূচীও আরও সদর্থক বার্তা নিয়ে আসবে তাঁদের জন্যে এমনই আশা করছেন তাঁরা।