পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে এসেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন কল্পতরু। এমনই দাবি শহর পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দাদের। প্রশাসনিক বৈঠকে নানা প্রকল্পের উদ্বোধন করে তিনি পূর্ব বর্ধমানবাসীর হাতে তুলে দিয়ে গেলেন একগুচ্ছ উপহার। আগামীদিনেও যাতে বর্ধমানবাসীর পথ চলতে কোনও অসুবিধা না হয়, তাই শিলান্যাস করে সে ব্যবস্থাও করে গেছেন। প্রশাসনিকভাবে তিনি উদার হস্তে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতেও মানুষের অভিযোগ শুনে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে গেলেন।
সোমবার প্রশাসনিক বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী রাত্রিযাপন করেন কানাইনাটশালে সেচ দফতরের ডাকবাংলোতে। এই খবর দাবানলের মতো গোটা শহরে ছড়িয়ে পড়ে। স্বভাবতই বাড়ির কাছে পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যাতে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে সরাসরি ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারেন সেই লক্ষ্যে বহু মানুষ চেষ্টা করেন।
মঙ্গলবার ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে গোপালনগরের এক প্রবীণ বাসিন্দা কানাইনাটশালে মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করতে এসে গেটের বাইরে থেকে ‘দিদিকে বলো’–তে দেওয়া মোবাইল নম্বরে ফোন করেন। সরাসরি সেই ফোন ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। যথারীতি তিনি তাঁর এলাকার রাস্তাঘাট এবং বিদ্যুতের অসুবিধার কথা জানান। প্রশাসনিক বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রী বর্ধমানের সেচ দপ্তরের ডাকবাংলোতে ছিলেন। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী ডাকবাংলোতে ডেকে নেন।
ঠিক একইভাবে কানাইনাটশাল লাগোয়া গোপালনগরের প্রবীণ বাসিন্দা শঙ্কর চোঙদার ডাকবাংলোর সামনে এসে ‘দিদিকে বলো’ ফেস্টুন দেখে সেখান থেকে যোগাযোগের মোবাইল নম্বর নিয়ে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ফোন ধরেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, তাঁর বাড়ির কাছে রাস্তাটি এই বৃষ্টির ফলে জল–কাদায় যাতায়াত করতে অসুবিধা হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁর এলাকার বিদ্যুতের তার সিঙ্গেল ফেজ হওয়ায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিদ্যুতের ব্যাপারে তিনি এবং প্রতিবেশীরা বারবার অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু বিদ্যুৎ দফতর এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তাই তিনি দিদিকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। দিদি অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। শঙ্করবাবু বলেন, “এভাবে সরাসরি দিদিকে পেয়ে খুব ভাল লাগছে। আশা করি আমাদের অসুবিধা দূর হবে”।