যদিও মাত্র সাত রানের জন্য শতরান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তিনি কিন্তু তা সত্ত্বেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে হনুমা বিহারীর ব্যাটিং প্রশংসা কুড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের। রোহিত শর্মার পরিবর্তে ছয় নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে তাঁর উপর আস্থা রেখেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি অফ-স্পিন বোলিংও করতে পারেন হনুমা বিহারী।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ৩১৮ রানের জয় পাওয়ার পর হনুমা বলেছেন, “বোলিংয়ে উন্নতি করার জন্য আমি সবসময় মুখিয়ে থাকি। জানি, পঞ্চম বোলারের ভূমিকায় আমায় ব্যবহার করা হতে পারে। তাই শুধুমাত্র ব্যাটিং নয়, বোলিংয়েও আরও ক্ষুরধার হতে হবে”।
এই টেস্টে ভারত চার পেসার ও এক স্পিনার নিয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেয়। একমাত্র স্পিনারটি রবীন্দ্র জাদেজা। ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি জানতেন, প্রয়োজন অনুযায়ী হনুমা বিহারীকে দিয়েও স্পিন করানো যাবে। ম্যাচের পর এই প্রসঙ্গে হনুমা বিহারী বলেন, “রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে ড্রেসিং-রুম ভাগ করে নেওয়া আনন্দই আলাদা। অফ-স্পিন নিয়ে অনেক পরামর্শই আমি জাড্ডু ভাইয়ের থেকে পেয়েছি। শুধু তাই নয়, ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রেও ও সবসময় আমায় উদ্বুদ্ধ করে”।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ম্যাচের সেরার সম্মান পেয়েছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল অজিঙ্কা রাহানে। প্রথম ইনিংসে তাঁর অনবদ্য ৮১ রানের ইনিংসই প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে টিম ইন্ডিয়াকে। দ্বিতীয় ইনিংসে রাহানের সংগ্রহ দুরন্ত ১০২ রান। সঙ্গত কারণেই তাঁকে ম্যাচের সেরা বেছে নেওয়া হয়েছে। পুরস্কার নেওয়ার পর রাহানে বলেন, ‘এই শতরান আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হ্যাম্পশায়ারের হয়ে খেলার সুফল পেলাম। দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানো বন্ধুদের জন্যই এই শতরান উৎসর্গ করলাম।’
অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া হলেও হতাশ নন হনুমা। কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তাঁর মন্তব্য, “মধ্যাহ্নভোজের পর এক ঘণ্টা ব্যাটিং করাই লক্ষ্য ছিল আমাদের। তাই রানের গতি বাড়ানোর জন্য চালিয়ে খেলি। ব্যক্তিগত কীর্তি গড়ার চেয়েও আমার কাছে দলের স্বার্থ অনেক বড়”।