কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স ভারতে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ জঙ্গী গোষ্ঠীর অন্যতম শীর্ষ নেতা মহম্মদ ইজাজ ওরফে ইজাজ আহমেদকে গ্রেফতার করল। ২০০৮ সাল থেকে ইজাজ জেএমবির সদস্য। রবিবার বিকেলে তাকে বিহারের গয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসটিএফের যুগ্ম কমিশনার শুভঙ্কর সিন্হা সরকার। গয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ইজাজকে। ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনা হচ্ছে ধৃত জঙ্গীকে। চোস্ত ইংরেজি বলা ইজাজ নিজেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচয় দেয়। এতেই ধন্দে পরে যায় এসটিএফ ও আইবি। গয়া থেকেই তারপর ভিডিও কল করা হয় এনআইএ-কে। সেখান থেকেই কওসর চিনিয়ে দেয় এক সময়ের ঘনিষ্ঠ ইজাজকে।
এসটিএফের দাবি, বেঙ্গালুরু থেকে খাগড়াগড়-কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত কওসর গ্রেফতার হওয়ার পর সংগঠনের প্রধান হিসাবে কাজ করছিল ইজাজ। বুদ্ধগয়াতে ২০১৮ সালে দলাই লামার সফরের সময়ে বিস্ফোরণের গোটা পরিকল্পনায় অন্যতম প্রধান চক্রী ছিল সে। তদন্তকারীদের দাবি, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং অসমে যে বেআইনি মাদ্রাসাগুলিতে জেএমআই নিজেদের ঘাঁটি তৈরি করে সদস্য নিয়োগ করছে তার মূল দায়িত্বে ছিল ইজাজ। বীরভূমের পাড়ুইয়ের অবিনাশপুরের বাসিন্দা সে।
গোয়েন্দাদের দাবি, বীরভূমে জেএমবি-র মডিউল তৈরির সময়েই সে জেএমবি ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। ২০১৪ সালে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরবর্তী সময়ে কওসর এবং বর্ধমান-বীরভূম মডিউলের বাকি সদস্যরা গা ঢাকা দিলে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার দায়িত্ব বর্তায় ইজাজের উপর। সেই থেকে সে কওসরের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে।
এসটিএফের গোয়েন্দাদের দাবি, সালাউদ্দিন সালেহিনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত ইজাজ। তাকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবেন গোয়েন্দারা। তাকে জেরা করে সালাউদ্দিনের হদিশ পাওয়া যাবে দাবি গোয়েন্দাদের। বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের পর যখন এসটিএফের হাতে জামাতুল ইসলাম বাংলাদেশের সদ্য গঠিত ভারতীয় শাখা জামাতুল মুজাহিদিন হিন্দের ধুলিয়ান মডিউলের একের পর এক সদস্য ধরা পড়ছে, তখন গা ঢাকা দেয় ইজাজ। গোয়েন্দাদের দাবি, বাঙালি শ্রমিকদের ভিড়ে মিশে সে বেশ কয়েক মাস বেঙ্গালুরু এবং কেরলে কাটায়। তদন্তকারীদের সন্দেহ, কিছু দিন সে বাংলাদেশেও ছিল।