ভারতীয় ক্রিকেটের কোচ নির্বাচন নিয়ে নাটক বেশ কয়েকদিন চলার পর অবশেষে তার যবনিকা পতন হয়েছে। কোচ হিসেবে রবি শাস্ত্রীর নামের পাশেই সিলমোহর দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটের নির্বাচক মন্ডলী। আর তারপর থেকেই বিতর্ক চলছে। কোচ নির্বাচন ও নির্বাচক মন্ডলীর ভূমিকা নিয়ে। সাধারণ মানুষ থেকে বহু প্রাক্তন ক্রিকেটারও প্রশ্ন তুলেছেন। এমনকি প্রধান নির্বাচকের ভূমিকায় অনিল কুম্বলের নামও প্রস্তাব করেছেন ভারতের প্রাক্তন ওপেনার বীরেন্দ্র সহবাগ। এইবার তাঁর এই মতকেই সমর্থন জানালেন ভারতের অন্যতম সফল অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। পাশাপাশি আরও একবার ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন তিনি।
এইদিন সহবাগের পাশে দাঁড়িয়ে ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ম্যাচ উইনার প্রসঙ্গে সৌরভ বলছেন, ‘‘অনিল কুম্বলে যথেষ্ট যোগ্য প্রার্থী। কুম্বলে যদি ভারতের প্রধান নির্বাচক হয়, তা হলে এর থেকে ভাল আর কী হতে পারে! দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে আরও বেশি সততা, অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হবে ভারতীয় ক্রিকেট। সহবাগেরও ভাল নির্বাচক হওয়ার গুণ রয়েছে। বীরুর সাহস রয়েছে। সেই সঙ্গে ওর বড় ম্যাচ সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি পরিষ্কার। অতীতে বহু ম্যাচ জিতিয়েছে বীরু। বড় ম্যাচ বিশ্লেষণ করার দিক থেকে সহবাগের জুড়ি মেলা ভার। সুতরাং, বীরু দায়িত্ব পেলে ভাল কাজই করবে। অনিল কুম্বলে ও বীরেন্দ্র সহবাগের ভাল নির্বাচক হওয়ার গুণ রয়েছে।’’
দিন কয়েক আগেই সৌরভ বলেছিলেন, তিনি ভবিষ্যতে ভারতের কোচ হতে আগ্রহী। তখন দেশে বিদেশের বিভিন্ন প্রার্থী ভারতের হেড কোচের চেয়ারে বসার জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই সময়ে সৌরভ জানিয়েছিলেন, তিনিও ভবিষ্যতে বিরাট কোহালিদের কোচ হিসেবে কাজ করতে চান। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌরভ আরও একবার কোচ হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে বলেন, ‘‘ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে কাজ করতে চাই, তা আগেই বলেছিলাম। বিরাট কোহালি ম্যাচ উইনার, চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার। কোহালির সঙ্গে কাজ করতে আমার ভালই লাগবে।’’
সৌরভের নেতৃত্বে ভারতীয় দল বদলে গিয়েছিল। বিদেশের মাটিতেও যে ভারত জিততে পারে, সেই বিশ্বাসের জন্ম হয়েছিল সৌরভের নেতৃত্বেই। জাতীয় দলের কোচ হলে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সেই বিশ্বাসের জন্ম দিতে পারবেন কোহালিদের সাজঘরে, এমনটাই বিশ্বাস ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের। সৌরভ বলেন, ‘‘বড় টুর্নামেন্টে দলকে জেতানোর অবদান রাখতে পারলে ভালই লাগবে।’’ সৌরভ কোচ হলে, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে গিয়ে জয় অভ্যাসে পরিণত করার বিশ্বাস ছড়িয়ে দিতে পারবেন বলেই মত ক্রিকেট মহলের একটা বড় অংশের।
কুম্বলের মতো হেভিওয়েট প্রার্থী ভারতের নির্বাচক হলে, বিসিসিআই-কেও সেই পদের সুযোগসুবিধাও বাড়াতে হবে। সহবাগের সঙ্গে সহমত পোষণ করে সৌরভ বলছেন, ‘‘নির্বাচকদের ভাল বেতন দেওয়া উচিত। কারণ ক্রিকেটে নির্বাচকদের পজিশনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোচ তাঁর মতামত জানান, কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তো নেন নির্বাচকরাই।’’