ফের দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বাবুল সুপ্রিয়র আসানসোলে। আর এবারও টার্গেট খোদ শাসকদলের কাউন্সিলর। শনিবার মাঝরাতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ হারালেন আসানসোলের তৃণমূল কাউন্সিলর মহম্মদ খালিদ খান। আসানসোল পুরনিগমের ৬৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। এর পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি আছে কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কান্ড ঘটিয়েছে।
শনিবার রাত ১২ টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে কুলটি থানার বরাকরের মানবেড়িয়া এলাকায়। সেইসময় রাতের খাওয়াদাওয়া সেরে নিজের বাড়ির সামনেই পায়চারি করছিলেন শাসকদলের ওই কাউন্সিলর। হঠাৎই বাইকে করে জনা-তিনেক দুষ্কৃতী এসে খুব কাছ থেকে গুলি করে খালিদ খানকে। প্রথমে কাউন্সিলরের পায়ে গুলি করা হয় এবং পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গুলি করা হয় খালিদের বুকে। তারপরেই এলাকা থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এদিকে, ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন মহম্মদ খালিদ। তড়িঘড়ি আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দলীয় কাউন্সিলেরর মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান আসানসোল পুরনিগমের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। মৃত কাউন্সিলরের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
পরিবারের অভিযোগ, কাউন্সিলরের উপর হামলার ঘটনা প্রথম নয়।খালিদের ভাই মহম্মদ আরমান দাবি, বছর তিনেক আগেও একই রকমের হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তবে সেইসময় প্রাণে বেঁচে যান খালিদ খান। তাঁদেরই বাড়ির তিন আত্মীয় টিঙ্কু, কাদের ও শাহিদ সেইবার হামলা চালিয়েছিল। এমনকী, খালিদের বাবাকেও আক্রমণ করেছিল ওই অভিযুক্তরা। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন।
কাউন্সিলরের মৃত্যুতে গোটা এলাকায় চাপা উত্তেজনার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। শোকস্তবদ্ধ মহম্মদ খালিদের পরিবার। তাঁরা জানাচ্ছেন, গেরুয়া শিবিরের আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এর পেছনে রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সমস্যা হল, এই এলাকাটি এক্কেবারে ঝাড়খণ্ড লাগোয়া। তাই দুষ্কৃতীরা গুলি চালানোর পর ঝাড়খণ্ডে পালিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা পুলিশের। সেক্ষেত্রে ঝাড়খণ্ড পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই।