বাংলার শাসক দলের নেতা-নেত্রীরা সবাই কোমর বেঁধে নেমেছেন তাঁদের প্রিয় নেত্রীর নির্দেশ মতো। রাজ্যের সাধারণ মানুষের সঙ্গে যেটুকু দূরত্ব তৈরি হয়েছে সেটুকুও দূরত্ব রাখতে চান না দল নেত্রী। তাই সবার কাছে পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তাঁর দলের অনুগামী নেতা-কর্মীদের। তাই সকলেই তাঁদের প্রিয় ‘দিদি’-র কথামতো কাজ করতে ব্যস্ত। সেই ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি শেষ হতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট। কর্মসূচির সেরে ফেরার পথে আক্রান্ত হলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। ভাঙচুর করা হয় মঙ্গলকোট পঞ্চায়েতের উপপ্রধান চন্দন সরকারের গাড়ি। আহত হয়েছেন তিন তৃণমূল কর্মী।
মঙ্গলকোট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। শনিবার বিকেলে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রচারের অংশ হিসেবে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের চাণক গ্রামে যান মঙ্গলকোট পঞ্চায়েতের উপপ্রধান, ব্লক সভাপতি-সহ প্রায় দেড় হাজার কর্মী। ব্যানার হাতে এলাকায় মিছিল করেন তাঁরা। কয়েকজনের বাড়ি গিয়ে অভাব-অভিযোগের কথা শোনেন। মঙ্গলকোটের ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরি বলেন, “সব এলাকাতেই যেমন ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি হচ্ছে, তেমনই চাণক গ্রামেও হচ্ছে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা উৎসাহের সঙ্গে আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।”
সেই মিছিল সেরে ফেরার পথে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ জন লাঠি ও ইট নিয়ে তৃণমূল নেতাদের উপর চড়াও হয়। ভাঙচুর করা হয় মঙ্গলকোট পঞ্চায়েতের উপপ্রধান চন্দন সরকারের গাড়িতে। ইটের আঘাতে আহত হন বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরে খবর পেয়ে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। এইভাবে বারবার গেরুয়া বাহিনীর তান্ডবের মুখে পড়তে হচ্ছে শাসক দলের নেতা-কর্মীদের। চলছে তাঁদের হামলা। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকেই বিজেপি সমর্থকদের তান্ডবে তটস্থ হয়ে উঠেছে রাজ্য। কোথাও ভাঙচুর তো কোথাও খুন।