কাশ্মীরে ৩৭০ রদের পর থেকেই কিছু সমস্যায় আছে উপত্যকা। সরকার তরফে স্বীকার না করা হলেও বারবার এই নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তারপর উপত্যকাকে সরকার পর্দার আড়ালে রাখতে চাইছে। বারবার চেষ্টা করেও বিরোধীরা কাশ্মীরে পৌঁছেতে পারছে না। তার মধ্যেই গতকাল শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হয়েছিল রাহুল গান্ধী এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের৷ আর সেখানেই এক মহিলা কাশ্মীরের অবস্থা জানায় রাহুলকে। সঙ্গে ভেঙে পড়ে কান্নায়। সেই নিয়েই এইবার সরব হলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে রবিবার তাঁর টুইটে এই ভাবেই তোপ দাগলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তিনি লেখেন, ‘হচ্ছেটা কী? আর কত দিন চলবে এই সব জাতীয়তাবিরোধী কার্যকলাপ? কত দিন চলবে এই রাজনীতি?’ তাঁর অভিযোগ, সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের পর থেকেই কাশ্মীরীদের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। সেটা কী ভাবে হচ্ছে, তা বোঝাতে টুইটে একটি ভিডিয়োও দিয়েছেন তিনি।
সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, রাহুল গান্ধীকে ওই মহিলা বলছেন, আমাদের ছেলেমেয়েদের বাড়ির বাইরে বেরোনোর উপায় নেই। আমার ভাই হার্টের রোগী। দশদিন ডাক্তার দেখাতে যেতে পারেনি। আমরা খুব সমস্যায় রয়েছি। এই ঘটনার পর রাহুল গান্ধী উঠে গিয়ে ওই মহিলাকে সমবেদনা জানান।
এ দিন তাঁর টুইটে ভিডিয়োটি দিয়ে প্রিয়ঙ্কা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘এই সব আর কত দিন চলবে? ইনি (ওই মহিলা) সেই লক্ষ লক্ষ মানুষের এক জন, যাঁদের মুখ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ‘জাতীয়তাবাদ’-এর নামে।’’ এর একটি টুইটে প্রিয়ঙ্কা লিখেছেন, ‘‘কাশ্মীরে এখন যে ভাবে গণতান্ত্রিক অধিকারগুলিকে খর্ব করা হচ্ছে, তার চেয়ে বড় রাজনীতি আর বড় জাতীয়তাবিরোধী কার্যকলাপ আর কিছু হতে পারে না।’’
প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের পরিস্থিতি দেখতে শনিবার বিরোধী প্রতিনিধি দল উপত্যকায় যান৷ কিন্তু শেষপর্যন্ত তাদের এয়ারপোর্টের বাইরেই যেতে দেওয়া হয়নি। কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলে রাহুল ছাড়াও ছিলেন কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের ডি রাজা, আরজেডি-র মনোজ ঝা, শরদ যাদব, এনসিপি-র মজিদ মেনন, ডিএমকের তিরুচি সিবা এবং তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী।