কলকাতা লীগের প্রথম ম্যাচে জর্জ টেলিগ্রাফের কাছে হারতে হয়েছিল আলেহান্দ্রো ব্রিগেডকে। শেষ মুহূর্তে জাস্টিস মর্গ্যানের গোলে ধাক্কা খেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তারপর ডুরান্ড সেমিফাইনালে হারের পর বেশ কিছুটা চাপেই ছিল লাল-হলুদ। সেই চাপ নিয়েই রবিবার ঘরোয়া লিগে বেহালা এসএস-এর বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল ক্রেসপি-ব্র্যান্ডনরা। আর সেই ম্যাচে জিতে ঘরোয়া লিগে প্রথম জয় পেল ইস্টবেঙ্গল। হাইমে স্যান্টোস কোলাডো আর বিদ্যাসাগর সিংয়ের যুগলবন্দিতে ইস্টবেঙ্গল জিতল ২-১ গোলে।
১৮ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেয় হাইমে কোলাডো। বিএসএস ডিফেন্ডারের পা থেকে ছিটকে আসা বল বক্সের ঠিক মাথায় পেয়ে যান কোলাডো। ইনস্টেপের দুরন্ত পাঞ্চে গোলকিপারের ডান দিকে দিয়ে বল জড়িয়ে দেন জালে। এ দিন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে অভিষেক হল স্প্যানিশ খেলোয়াড় মার্কোসের। বর্ষার কাদা মাঠে গোল না পেলেও প্রথম ম্যাচে বেশ স্বচ্ছন্দেই খেলতে দেখে গেল এই নতুন বিদেশিকে।
এক গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে ড্রেসিং রুমে যায় আলেহান্দ্রো মেনেন্ডেজের দল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক ফুটবল শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। ব্যবহার করতে থাকে দুটি উইং। মাঝ মাঠে কোলাডো এ দিনও অসাধারণ ফুটবল খেলেন। মাঝ মাঠ থেকে তাঁর বাড়ানো লম্বা বল থেকে ৫২ মিনিটে আক্রমণ তৈরি করে ইস্টবেঙ্গল। সেখান থেকে গোল করে ২-০ করেন বিদ্যাসাগর সিং।
তবে খেলা শেষ হওয়ার মিনিটখানেক আগে অতিরিক্ত সময়ে ব্যবধান কমায় বেহালার দলটি। বক্সের ভিতর কমলপ্রীতের হাতে বল লাগলে পেনাল্টি দেন রেফারি রঞ্জিত বক্সী। গোল করে ব্যবধান কমায় বিএসএস-এর বিদেশি ফুটবলার উইলিয়াম ওপোকু। সেখানেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ। আজকের ম্যাচ জিতে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট দাঁড়াল ২ ম্যাচে ৩।