এর আগে বিনায়ক দামোদর সাভারকারের ‘মহিমা’ এবং ‘বীরত্ব’ প্রচারের উদ্দেশ্যে সরকারি বিদ্যালয়গুলির সিলেবাসে তাঁর আত্মজীবনী পড়ানো চালু করেছিলো রাজস্থানের পূর্ববর্তী বিজেপি সরকার। এবার আরও একধাপ এগিয়ে তাঁদের শরিক দল শিবসেনা সরাসরি জানিয়ে দিল, সাভারকারের আদর্শ হতে বিচ্যুত যাঁরা, তাঁদের ‘উচিত শিক্ষা’ দেওয়ার কথা।
‘বীর সাভারকরের আদর্শে যাঁরা বিশ্বাস করেন না, তাঁদের রাস্তায় প্রকাশ্যে মারধর করুন।’ এমন মন্তব্য করেই বিতর্কে জড়িয়েছেন মহারাষ্ট্রের শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। এই মন্তব্যকে আরও জোরালো করতে তিনি এ-ও বলেন, ‘তাঁদেরকে মারা উচিত কারণ তাঁরা জানেনই না, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বীর সাভারকরের ভূমিকা ঠিক কী ছিল। কয়েকদিন আগেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও সাভারকরকে অপমান করেছেন।’
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সাভারকরের ছবি-সহ কিছু ব্যানার টাঙিয়ে ছিল বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। ওই পোস্টারে সাভারকরের মুখে কালো কালি লেপে দেওয়া হয়। আর এই ঘটনায় নাম জড়ায় কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই ও অতিবাম সংগঠন আইসার বিরুদ্ধে।
এনএসইউআই ও আইসার বক্তব্য ছিল, ভারতের স্বাধীনতার লড়াইয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং ভগত সিংয়ের নাম যেভাবে উঠে আসে, সেখানে কখনই সাভারকরের নাম থাকতে পারে না। আর তারপর থেকেই যারপরনাই ক্ষুব্ধ বিজেপি এবং তাদের শরিক শিবসেনা।
বুধবারই সংবাদমাধ্যমের কাছে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেছিলেন, ‘সাভারকর ও তাঁর পরিবার স্বাধীনতা যুদ্ধে যেভাবে লড়ে গিয়েছেন, তার কোনও তুলনাই হয় না। সাভারকরকে যাঁরা অপমান করছেন, তাঁরা মাথায় রাখবেন তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ যে কারণে সমালোচিতও হতে হয়েছে তাঁকে।
আর এবার একই সুর শোনা গেল শিবসেনা প্রধানের গলাতেও। সাভারকরের আদর্শে কেউ বিশ্বাস না করলেই প্রকাশ্যে মারধর করার যে নিদান দিয়েছেন উদ্ধব, তাকে যথেষ্টই উস্কানিমূলক এবং হিংসায় প্ররোচনা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।