রবিবার নয়াদিল্লীর নিগমবোধ ঘাটে অরুণ জেটলির শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। তার আগে জেটলির নশ্বর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে দিল্লীতে বিজেপির সদর দফতরে। সেখানে দুপুর ২টো পর্যন্ত রাখা হবে তাঁকে। এরপর নিগমবোধ ঘাটে নিয়ে গিয়ে যমুনার তীরে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে প্রাক্তণ অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির।
দীর্ঘদিন ধরে কিডনির রোগে ভুগছিলেন জেটলি। শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি গত ৯ আগস্ট ভর্তি হন এইমসে। তারপর থেকেই যমে-মানুষে টানাটানি চলছে জেটলিকে নিয়ে। অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় বেশ কয়েকদিন ভেন্টিলেশনে কাটানোর পর শনিবার দুপুর ১২টার পরই না ফেরার দেশে চলে যান জেটলি। তাঁর মৃত্যুর পর দলমত নির্বিশেষে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা শোকজ্ঞাপণ করেছেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী; সকলেই স্তম্ভিত এই প্রবীণ রাজনীতিবিদের অকাল প্রয়াণে।
প্রথম মোদী সরকারের অন্যতম ট্রাবলশ্যুটার ছিলেন অরুণ জেটলি৷ শারীরিক অবস্থার প্রবল অবনতি হওয়ায় ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রাজি হননি তিনি। অসুস্থতার জেরে মোদীর মন্ত্রিসভায় মন্ত্রকের দায়িত্ব নিতেও চাননি তিনি। মোদী সরকারের নানা সমস্যার সমাধানের নাম জেটলি৷ ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন৷ সুষমা স্বরাজের মৃত্যুর ঘা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিজেপি৷ তার আগেই প্রয়াত হলেন অরুণ জেটলি।