হাত না ধরার ফল যে কী ভয়াবহ হতে পারে লোকসভায় তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে বাম-কংগ্রেস জুটি। তবে নেড়া বেলতলায় একবারই যায়। মাথা না বাঁচিয়ে ফের বেলতলায় গিয়ে টাকে বেল পড়ুক তা আর চায় না রাজ্যের বাম ও কংগ্রেস কোনও পক্ষই। তাই এবার আটঘাট বেঁধে মাঠে নামলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। বাংলায় আসন্ন তিন উপনির্বাচনে বাম ও কংগ্রেস যাতে একসঙ্গে লড়াই করতে পারে তার সম্মতি আদায়ে ছুটেছিলেন দিল্লীতে। সে সম্মতি তিনি পেয়ে গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ।
এমনিতে রাজ্য বিধানসভায় সিপিএম ও কংগ্রেসের মৈত্রী ভাব বেশ নজর কেড়েছে রাজ্যবাসীর। সম্প্রতি সিপিএমের তরফে তো স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল জোটের রাস্তায় হাঁটতে তাঁরা তৈরি। তবে শীর্ষ মহলের অনুমতি ব্যাতিত সে আশ্বাসটুকু দিতে পারছিল না কংগ্রেস। তাই অনুমতি আদায়ে শুক্রবার দিল্লী যান সোমেন মিত্র। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে আবেদন জানান, রাজ্যে আসন্ন কালিয়াগঞ্জ, খড়গপুর ও করিমপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে বামেদের সঙ্গে একত্রে লড়তে চান তাঁরা। সোমেনের সে প্রস্তাবে অবশ্য কোনও আপত্তি করেননি সোনিয়া। বরং জানিয়ে দেন বামেরা যদি রাজি থাকে তবে জোট চূড়ান্ত করে নিন। সোনিয়ার এই সম্মতির পর রাজ্যে বাম কংগ্রেস জোটে আর কোনও সমস্যা হবে না বলেই অনুমান রাজনৈতিক মহলের। পাশাপাশি এটাও জানা যাচ্ছে, এই জোটের লড়াইয়ে কালিয়াগঞ্জ ও খড়গপুর এই দুই আসন কংগ্রেসকে ছাড়ছে বামেরা। আর করিমপুর আসন থেকে লড়বে বাম।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলকে রাজ্যে ক্ষমতাচ্যুত করতে ২০১৬ সালে রাজ্যে জুটি বেধেছিল বাম-কংগ্রেস। এরপর থেকে বেশ কয়েকটি নির্বাচন একত্রে লড়েছে তাঁরা। তবে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে জোট হব হব করেও হয়নি রাজ্যে। দীর্ঘ টালবাহানার পর শেষে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জোট থেকে বেরিয়ে আসে দুই পক্ষই। তার ফল অবশ্য হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে দু’দলই। এই ভুল যাতে দ্বিতীয়বার না হয় তার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুত দুই শিবির।