ফের নক্ষত্রপতন ভারতীয় রাজনীতিতে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি প্রয়াত। শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নয়াদিল্লীর এইমসের ভর্তি ছিলেন তিনি৷ পরে অবস্থা আরও খারাপ হলে তাঁকে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়৷ সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে শনিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন প্রথম মোদি সরকারের অর্থমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতা৷ প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের মৃত্যুর ধাক্কা সামলাতে ফের শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে।
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর ধরেই শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন অরুণ জেটলি৷ ২০১৮ থেকে কিডনি সমস্যা থেকে ভুগতে থাকেন তিনি৷ ডায়ালিসিস শুরু হয়৷ কিডনি প্রতিস্থাপনও হয়৷ তারপর ধরা পড়ে ক্যানসার৷ এরপরই সেই মারণ রোগের চিকিৎসার জন্য তিনি পাড়ি দেন আমেরিকায়৷ সেজন্যই ফেব্রুয়ারি মাসে অর্থমন্ত্রী হয়েও প্রথম মোদি সরকারের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করতে দেখা যায়নি তাঁকে৷ তাঁর দায়িত্ব পালন করেন পীযূষ গোয়েল৷
কয়েকদিন আগেই চলে গিয়েছেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। সেই মৃত্যুতে শোকের আবহ বিজেপিতে। এর মধ্যেই ফের শোকের খবর এল এইমস থেকে। গোটা দিন ধরে জেটিল আরোগ্য কামনা মিথ্যা হয়ে গেল। চিকিৎসকরা জানিয়ে দিলেন অরুণ জেটলি আর নেই।
ডাক্তাররা আগেই জানিয়েছেন, তিনি ‘সফ্ট টিস্যু সার্কোমা’য় আক্রান্ত। এটি একটি ‘রেয়ার ভ্যারাইটি ক্যানসার’। এটিকে অ্যাগ্রেসিভ ক্যানসার বলা হয়। মূলত ফুসফুস এবং লিভারে ছড়িয়ে যায় খুব দ্রুত। লো গ্রেড, ইন্টারমিডিয়েট গ্রেড, হাই গ্রেড এই তিনটি গ্রেড থাকে ক্যান্সারের ক্ষেত্রে।
শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় গত ৯ আগস্ট সকালে এইমসে ভর্তি করা হয় অরুণ জেটলিকে৷ প্রথমে কার্ডিওলজি বিভাগে ভরতি করা হয় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে। ১০ অাগস্ট থেকে ৬৬ বছর বয়সি প্রাক্তন এই মন্ত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে বিবৃতি দেওয়া বন্ধ করে দেয় এইমস কর্তৃপক্ষ। ২০ অগস্ট হাসপাতালের এক মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়, তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের একটি টিম তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। সব যুদ্ধ থামিয়ে চিরনিদ্রায় অরুন জেটলি।