তিনি দেশের হয়ে কর্মরত। সীমান্ত পাহারা দিয়ে চলেছেন, যাতে শত্রু বা কোনও অনুপ্রবেশকারী দেশে ঢুকে না পড়ে। অথচ সেই বিএসএফ-এর এক সাব ইনস্পেক্টর এবং তাঁর স্ত্রীকেই ‘বিদেশি’ বা ‘অনুপ্রবেশকারী’ আখ্যা দিল আসামের ফরেনার ট্রাইব্যুনাল। জানা গিয়েছে, জোরহাটের ফরেনার ট্রাইব্যুনাল বিএসএফের কর্তব্যরত সাব ইনস্পেক্টর মুজিবর রহমানকে ‘বিদেশি অভিবাসী’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। শুধু রহমান নন, সেই সঙ্গে তাঁর স্ত্রীকেও বিদেশি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের আবেদন ঠিকমত না শুনেই এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফরেনারস ট্রাইব্যুনাল।
পঞ্জাবে কর্মরত মুজিবুর রহমান গত সপ্তাহে কর্মক্ষেত্র থেকে অসমে ফিরে এই বিষয়টি জানতে পারেন। রহমান জানিয়েছেন যে তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশি বা পাকিস্তানি নই। আমরা ভারতীয়, অসমেই জন্ম। ১৯২৩-এ আমাদের জমির রেকর্ড আছে। কিন্তু বর্ডার পুলিশ আমাদের নাগরিকত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে।’ এই বিষয়ে গুয়াহাটি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মুজিবুর রহমান। এতদিন নিজের নাগরিকত্ব নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে না যাওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারির নির্দেশ জারি করেছে জোড়হাট ট্রাইবুনাল।
আসামে অবৈধ নাগরিকদের চিহ্নিত করতে তৈরি করা হয়েছে ১০০ ট্রাইবুন্যাল। শীঘ্রই আরও ২০০ এরকম ট্রাইবুন্যাল তৈরি করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যেই নাগরিকপঞ্জীর খসড়া তালিকা তৈরি সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। সেই তালিকায় যাতে কোনও ফাঁক না থাকে তার জন্যই গঠন করা হয়েছে ওইসব ট্রাইবুন্যাল।
এদিকে, বিদেশি বলে চিহ্নিত অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ান মহম্মদ সানাউল্লাহর জামিন মঞ্জুর করে গুয়াহাটি হাইকোর্ট। ৫২ বছরের ওই প্রাক্তন জওয়ান এখনও সেই মামলা লড়ছেন। তার পর এবার একই সমস্যায় পড়লেন এই বিএসএফ জওয়ান।