ফের মাওবাদী ও পুলিশের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ছত্তিশগড়ের অবুজমাঢ়ের জঙ্গল। জানা গেছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজন মাওবাদীকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে মাওবাদীদের ছোঁড়া পালটা গুলিতে জখম হয়েছেন দুই পুলিশকর্মী। সূত্রের খবর, তাঁদের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক৷ এই ঘটনার পর থেকে জঙ্গলে ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে৷
মহারাষ্ট্র এবং ছত্তিশগড়ের সীমান্তে অবস্থিত নারায়ণপুরের বস্তারে অবস্থিত অবুজমাঢ়ের জঙ্গল৷ প্রায় ছ’হাজার কিলোমিটার জায়গা জঙ্গলে ঢাকা৷ সেই সুযোগেই বেশ কয়েকজন মাওবাদী ওই এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলেই খবর পায় পুলিশ৷ ধুরভেদা জঙ্গলে এক্কেবারে ক্যাম্প তৈরি করে সেখানে মাওবাদীরা ঘাঁটি গেড়েছে বলেই জানা যায়৷ সেই অনুযায়ী ওই এলাকায় হানা দেয় বিশাল পুলিশবাহিনী৷ তাঁদের উপস্থিতি টের পেতে বিশেষ সমস্যা হয়নি মাওবাদীদের৷ সঙ্গে সঙ্গে গোপন ডেরা থেকে গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা৷ পালটা জবাব দেয় পুলিশকর্মীরাও৷ প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে দু’পক্ষের গুলির লড়াই৷ তাতে একে একে পাঁচজন মাওবাদীকে খতম করা হয়। তাঁদের প্রত্যেকের কাছেই ছিল অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র৷ ওই অস্ত্রশস্ত্রগুলি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে৷ এদিকে, শনিবার সকালে মাওবাদীদের ছোঁড়া গুলিতে দু’জন পুলিশকর্মীও গুরুতর জখম হন৷ তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷
এর আগে গত ৩ আগস্ট রাজনন্দগাঁওয়ে মাওবাদী এবং পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে৷ বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলা গুলির লড়াইতে নিকেশ হন অন্তত সাতজন মাওবাদী। তাঁদের কাছ থেকেও বেশ অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল৷ একই মাসে আবারও বস্তারে খতম পাঁচ মাওবাদী৷ এটাই চলতি মাসের দ্বিতীয় বড়সড় এনকাউন্টার বলেই দাবি পুলিশের৷ বারবার এনকাউন্টার সত্ত্বেও মাওবাদীদের সক্রিয়তা ভাবাচ্ছে ছত্তিসগড় প্রশাসনকেও৷