ডুরান্ড ফাইনালের আর বাকি কয়েক ঘণ্টা। তার আগে আপামর ফুটবলপ্রেমীদের আলোচনায় একটাই বিষয় উঁকি দিচ্ছে। আজকের লড়াইটা কাদের মধ্যে? মোহনবাগান বনাম গোকুলাম? বাংলা বনাম কেরল? নাকি কেরল বনাম কেরল? এই প্রশ্নটা নিয়ে সন্দিহান ফুটবল মহলও। তবে এরকম প্রশ্ন কেন আসছে সকলের মনে?
জানতে গেলে পিছিয়ে যেতে হবে ডুরান্ড কাপের দুই সেমিফাইনালে। যেখানে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠেছিলেন গোকুলাম কেরালার গোলকিপার উবেইদ সিকে। প্রায় একার হাতেই সেদিন ইস্টবেঙ্গলকে আটকে দিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রিয়েল কাশ্মীরের বিপক্ষে ২ গোল করে মোহনবাগানকে ফাইনালে তুলেছেন ভিপি সুহের। এবার ঘটনাচক্রে এই দুজনই জন্মসূত্রে কেরলের।
বাগানের স্প্যানিশ কোচ কিবু ভিকুনা সেমিফাইনাল ম্যাচে রিয়েল কাশ্মীরের বিরুদ্ধে পরিবর্ত হিসেবে নামিয়েছিলেন সুহেরকে। সেই সুপার সাব সুহেরই হাসি ফুটিয়েছিল সবুজ-মেরুন জনতার মুখে। প্রথমার্ধেই ১ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। ৪২ মিনিটে সালভাদোর মার্টিনেজ পেরেজের গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে লকার রুমে যায় বাগান টিম।
খেলা যখন অতিরিক্ত সময়ে, বাগান গ্যালারি যখন ফাইনালে ওঠার সেলিব্রেশন সারছে, ঠিক তখনই ঘটে বিপত্তি। ক্রিজোর গোলে সমতা ফেরায় কাশ্মীর। এর পরে খেলা গড়ায় এক্সট্রা টাইমে। আর সেখানেই অন্য বাগান। এক্সট্রা টাইমের প্রথমার্ধের তিন মিনিটের মাথায় ২-১ করেন সুহের। এর পরে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবার সুহেরের গোল। ৩-১ এ এগিয়ে গিয়ে দুশ্চিন্তা ঘুচে যায় বাগান রিজার্ভ বেঞ্চের।
অন্যদিকে, প্রথম সেমিফাইনাল ইস্টবেঙ্গল বনাম গোকুলাম ম্যাচ গড়িয়েছিল টাই ব্রেকার পর্যন্ত। সেখানে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন উবেইদ। ইস্টবেঙ্গলের ডিকার শট পোস্টে লাগে। আর দুটি পেনাল্টি শট প্রতিহত হয় উবেইদের গ্লাভসে।
এর আগে ইস্টবেঙ্গলে থাকাকালীন একসঙ্গেই খেলেছেন উবেইদ এবং সুহের। তাই এত বিদেশির মাঝেও ডুরান্ড ফাইনালে দুই কেরল পুত্রের লড়াই দেখার অপেক্ষায় শনিবারের যুবভারতী।