প্রতিভার কদর কখনও চাপা থাকে না। চারদিকে বহু প্রতিভা ছড়িয়ে আছে। সেই প্রতিভাগুলো কোনো না কোনদিন তাঁদের স্বপ্নের জগতে পাড়ি দেয়। এমনই এক বিস্ময়কর প্রতিভার নাম রানাঘাটের রানু মন্ডল। কিছুদিন আগেও দুবেলা দুমুঠো খাবার জন্য রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হত তাঁকে । কেউ কেউ হয়তো ভাবত সে পাগল । অথচ খুব বেশি দিনের কথা নয়, হঠাৎ করেই রানু মন্ডলের গলার লতা মঙ্গেশকরের গান শুনে চমকে ওঠে একজন সঙ্গীত প্রেমী। তিনি তাঁর ভিডিও সহ গানটি আপলোড করে দেয় সোশ্যাল দুনিয়ায়। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি রানুদিকে।
রানাঘাট স্টেশনের তাঁর গানের ভিডিও ভাইরাল হয়ে রাতারাতি বিখ্যাত হয়েছিলেন তিনি। লোকে তাঁকে একবাক্যে চেনে ‘রানাঘাটের রানু’ নামে। সেই ‘লতাকন্ঠী’ রানু মন্ডল এবার পাড়ি দিল বলিউডে। বলিউডের সঙ্গীত পরিচালক হিমেশ রেশামিয়ার সঙ্গে ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হীর’ ছবির জন্য প্লে-ব্যাক করলেন। গান গাওয়ার অফার পেয়েই এদিন মুম্বই যান রানুদি।
এই ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন হিমেশ রেশামিয়া। হিন্দি এই ছবির ‘তেরি মেরি, তেরি মেরি কাহানি’ গানেই খোদ সঙ্গীত পরিচালকের সঙ্গে গলা মেলালেন রানু। আর সেই রেকর্ডিং ভিডিওই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আগেই শোনা যাচ্ছে, তাঁর কাছে এখন অনেক গানের অফার আসছে। ফিরেছেন মেয়েও।
এই মহিলাই অনায়াসে গেয়ে ফেলেন ‘পন্না কি তমান্না হ্যায় কে হীরা মুঝে মিল যায়ে’ ও ‘ইক প্যায়ার কা নগমা হ্যায়’-র মতো হাজার একটা লতার গাওয়া গান। বয়স হয়ে গেছে, তবুও ভুলে যাননি গানের কথা। তাঁর এই প্রতিভাই আজ তাঁকে স্বপ্ন নগরীতে পৌঁছে দিয়েছে।
তারপরেই একের পর এক স্টেজ শো করতে থাকেন রানু। অবশেষে বলিউডে প্লেব্যাক। প্রতিভা হারিয়ে যায়না বোধহয় একেই বলে। স্বামী, মেয়ে, ঘর-সম্পতি সব হারিয়ে গেলেও তাঁর জীবনে রয়ে গেছে গান আর সুমধুর কণ্ঠ। যার ওপর ভর করে তিনি আজ সেলেব্রিটি তকমা পেয়ছেন।