মানুষের স্বপ্ন কখন কিভাবে পূরণ হয়ে যায় তা সে নিজেও জানতে পারে না। বহু মানুষের মতো স্বপ্ন নিয়ে রোজ দীঘার সমুদ্রতীরে ঘটি গরম বেচতেন স্বরাজ ভট্টাচার্য। তবে তাঁর স্বপ্ন এইবার সত্যি হল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে। রাজ্যের বহু মানুষ নানাভাবে নানাসময় মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য পেয়েছেন। এখানেও তার অন্যতা হয়নি।
সোমবার গরমাগরম ঘটিগরম খেয়ে অভিভূত মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ডেকে মোমো খাইয়েছিলন। খোঁজ নিয়েছিলেন তাঁর বাড়ি,ঘরদোরের। কলকাতার বাসিন্দা স্বরাজবাবু বলেছিলেন, দিঘায় ব্যবসা হলেও, থাকার জায়গা নেই। বাড়িঘর তো দূরের কথা। স্বরাজবাবুর এই কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসককে ডেকে মুখ্যমন্ত্রী
দিঘার কাছাকাছি একটি জমির ব্যবস্থা করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। যাতে অভিভূত দীঘার ‘ঘটি গরম কাকু’।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী দিঘা ছাড়ার আগেই তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে জমির পাট্টা তুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রামনগর ১ ব্লকের বিডিও অফিসে স্বরাজবাবুকে ডেকে পাঠানো হয়। পাশাপাশি রামনগর বাজার লাগোয়া একটি জায়গা রেকর্ড-সহ পাট্টা তুলে দেওয়া হয় স্বরাজবাবুর হাতে। জায়গার পাট্টার কাগজ হাতে পেয়ে খুশি স্বরাজ বাবু জানান, “মুখ্যমন্ত্রী খালি
হাতে কাউকে ফেরান না, এটা শুনেছিলাম। এবার তা নিজেই উপলব্ধি করলাম।”
দিঘার সমুদ্র সৈকতে গলায় বাক্স ঝুলিয়ে ঘটিগরম বেচেন স্বরাজ ভট্টাচার্য। দিঘা ঘুরে গিয়েছেন, আর তাঁকে চেনেন না – এমন পর্যটক প্রায় নেই বললেই চলে। রামনগর ১ ব্লকের ঠিকরাতে একটি ছোট্ট ঘর ভাড়া নিয়ে থাকেন তিনি। একটি জায়গা পাট্টা নিয়ে বাড়ি বানানোর ইচ্ছে দীর্ঘদিনের। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী দিঘা সফরে যান। স্বরাজ ভট্টাচার্যও রোজকারমতো ঘটিগরম বিক্রি করছিলেন সমুদ্র সৈকতে। মুখ্যমন্ত্রী ডেকে
পাঠান স্বরাজকে। আর তারপরই স্বপ্নপূরণ।