১ মাস আগে গত ২২শে জুলাই রাতে হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমার অন্তর্গত গোঘাট থানার নকুন্ডায় নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় সেখানকার স্থানীয় তৃণমূল নেতা লালচাঁদ বাগকে। সেই ঘটনার জেরে অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই তৃণমূল নেতাকে পিটিয়ে খুন করেছে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ছয়জনকে গ্ৰেপ্তারও করে।
সেই ঘটনার পর যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ও মৃতের পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল স্থানীয় বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ মালিকের ইশারাতেই সেই খুনের ঘটনা ঘটেছে। তার জেরে উভয়পক্ষই বিশ্বজিতের গ্রেফতারির দাবি করেছিল। এক মাস বাদে অবশেষে সেই দাবি মান্যতা পেল পুলিশের হাতে সেই অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ায়। লালচাঁদ বাগ খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ মালিককে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বাঁকুড়া জেলার খাতড়ার গোপালগঞ্জ এলাকা থেকে গোঘাট থানার পুলিশ বিশ্বজিৎ মালিককে গ্রেফতার করে। শুক্রবার আরামবাগ মহকুমা আদালতে তাঁকে তোলা হলে অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ মালিককে বিচারক ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্য দিকে লালচাঁদবাগ খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ছিল বিজেপি নেতা বিশ্বনাথ মালিককে গ্ৰেফতারের পর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির আরামবাগ জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ এদিন অভিযোগ করেন, ‘ওই অঞ্চলেই বিজেপির বুথ সভাপতি কাশীনাথ ঘোষকে খুন হয়। গোঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও কিন্তু সেক্ষেত্রে অভিযুক্তদের এখনও গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। বেছে-বেছে বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করছে।’
যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, বিজেপি যে অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এদিন টি এও বলেছেন যে, খুনের ঘটনায় প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করছে। এতে আমরা কোনোভাবে হস্তক্ষেপ করিনি। বিজেপি নিজেরা সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে গ্রামে গ্রামে, আর সেই ঘটনাগুলি অন্যদের ওপর দিয়ে চালানোর চেষ্টা করছে।