২০১৬ সালের ঘটনা। ফ্ল্যাট কেনার জন্য স্থানীয় প্রোমোটারকে ২ লক্ষ টাকা অগ্রিম দিয়েছিলেন বৈদ্যবাটি কাজিপাড়ার সত্যনারায়ণ বসু। কিন্তু সে মতো কাজ হয়নি। ৬ মাসের মধ্যে ফ্ল্যাট দেওয়ার চুক্তি থাকলেও ৩ বছর পরেও ফ্ল্যাট হাতে পাননি সত্যনারায়ণবাবু। তাঁর আবেদনে জেলা ক্রেতাসুরক্ষা আদালত অভিযুক্ত প্রোমোটারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নিদান দেয়। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। শেষে ‘দিদিকে বলো’র নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানিয়ে সুরাহা পেলেন ওই প্রৌঢ়।
‘দিদিকে বলো’র বিশেষ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভেন্স সেলে চিঠি দেন। ২৯ জুলাই অভিযোগ জানান চন্দননগর কমিশনারেটেও। তার ৫ দিনের মধ্যে কমিশনারেট থেকে দুই আধিকারিক তাঁর কাছে যান। তাঁর কাছ থেকে সব শুনে প্রোমোটারের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। পরে দু’জনের সঙ্গে আলোচনায় সমাধানসূত্র বেরোয়। ১ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে রাজি হন প্রোমোটার। প্রস্তাব মেনে নেন সত্যনারায়ণবাবু। ওইদিনই হাতে চেক পেয়ে যান তিনি।
ত্রাণ ওবং জনকল্যাণ দফতরের মন্ত্রীর গাড়ির চালক ছিলেন সত্যনারায়ণবাবু। তাঁর দুই ছেলে কর্মসূত্রে পরিবার নিয়ে বাইরে থাকেন। বাড়িতে স্ত্রী মিনতিদেবীকে নিয়ে থাকেন সত্যনারায়ণবাবু। সেই বাড়ি বিক্রি করে ফ্ল্যাট কেনার জন্য অগ্রিম টাকা দিয়েছিলেন তিনি। দু’বছর পর ফ্ল্যাট না পেয়ে ক্রেতাসুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। জেলা ক্রেতাসুরক্ষা আদালত ক্ষতিপূরণ–সহ তাঁর টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু প্রোমোটার মনমোহন চট্টোপাধ্যায় ক্ষতিপূরণ না দিয়ে রাজ্য ক্রেতাসুরক্ষা আদালতে যান। তার পর থেকে দিনের পর দিন চলে গেছে, টাকা ফেরত পাননি। উল্টে ৩ বছর ধরে চরম হয়রান হতে হয়েছে ওই প্রৌঢ়কে। এরপর ‘দিদিকে বলো’ জানিয়ে পেয়েছেন সাড়া।