প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে ঘিরে গত ২৭ ঘণ্টা ধরে উত্তাল দেশ। তাঁকে সিবিআই-ইডি খুঁজে বেড়াচ্ছেন, অন্যদিকে ঘুরে ঘুরে এবার প্রকাশ্যে এলেন এই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। বুধবার সন্ধেয় নয়া দিল্লীতে কংগ্রেসের সদর দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সেখান থেকে স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমি কোনও অন্যায় করিনি। এমনকী আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্য প্রমাণও নেই। সিবিআইও আমার বিরুদ্ধে কোনও চার্জশিট দেয়নি।” সাংবাদিক বৈঠকের পরই কংগ্রেসের সদর দপ্তর থেকে বেরিয়ে যান প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী৷ চিদম্বরমের এই সাংবাদিক বৈঠককে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে জল্পনা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সন্ধে থেকেই কার্যত উধাও গিয়েছিলেন চিদম্বরম। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর দিল্লীর জোড়বাগের বাড়িতে বার তিন সিবিআই আধিকারিকরা গিয়েও তাঁর খোঁজ পাননি। উলটে, চিদম্বরমের তরফে তাঁর আইনজীবীরা সিবিআইকে একটি চিঠি দিয়ে জানায়, যেহেতু তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন, তাই তাঁদের মক্কেলের বিরুদ্ধে যেন কোনওরকম পদক্ষেপ না করা হয়। সকাল সাড়ে দশটায় আদালত খুলতেই দিল্লী হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন চিদম্বরমের আইনজীবীরা।
চিদম্বরমের করা আবেদন নিয়ে সকাল থেকেই টানাপোড়েন চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। প্রথমে মামলাটি ওঠে বিচারপতি এন ভি রামান্নার এজলাসে। তিনি মামলাটি পাঠিয়ে দেন প্রধান বিচারপতির এজলাসে। কিন্তু প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ব্যস্ত ছিলেন রাম মন্দির মামলার শুনানি নিয়ে। তাই তিনি মামলা শুনতে পারেননি। মামলা আবার ওঠে বিচারপতি রামান্নার এজলাসে। কিন্তু, কপিল সিব্বল, সলমন খুরশিদ, অভিষেক মনু সিংভির মতো দুঁদে আইনজীবীদের আবেদনেও ভুল থেকে যায়। যার জেরে মামলার শুনানি করা সম্ভব হয়নি। ভুল সংশোধন করে নতুন করে আবেদন করেন সিব্বালরা। তারপরই অবশেষে দেখা মিলল প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের। আর ঝটিকা সফরে তিনি জানিয়ে দিলেন তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা।