কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে কাস্টমসের বিরুদ্ধে ম্যাচে বাঁ-পায়ের গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। ডুরান্ড কাপে ভারতীয় নৌসেনার বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচেও খেলতে পারেননি জোসেবা। বুধবার সেমিফাইনালে রিয়াল কাশ্মীর এফসি-র বিরুদ্ধে কি তাঁকে পাবেন কিবু ভিকুনা? সবুজ-মেরুন তাঁবুতে এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।
সোমবার সকালে যুবভারতী সংলগ্ন মাঠে অনুশীলনে প্রথম পর্বে চেনা ছন্দেই পাওয়া গিয়েছিল জোসেবাকে। মোহনবাগান কোচ এ দিন মাঠ ছোট করে অনুশীলন ম্যাচ খেলিয়েছেন। কারণ, রিয়াল কাশ্মীর কোচ ডেভিড রবার্টসনের রণকৌশলই হচ্ছে, ম্যাচের শুরু থেকেই বিপক্ষের উপরে চাপ তৈরি করা। উদ্বেগ শুরু হল অনুশীলনের শেষ পর্বে। মাঠের মধ্যেই বসে পড়ে বাঁ-পায়ের গোড়ালিতে বরফ ঘষতে শুরু করলেন জোসেবা। চোট সম্পূর্ণ সারেনি স্প্যানিশ মিডিয়োর? ভিকুনা আশাবাদী রিয়াল কাশ্মীরের বিরুদ্ধে জোসেবার খেলা নিয়ে। বলে দিলেন, ‘‘আপনারা তো অনুশীলনেই দেখলেন ওকে। কোনও সমস্যা নেই’’ কিন্তু ফের যে গোড়ালির চোটে বরফ ঘষছিলেন মাঝমাঠের প্রধান ভরসা! সবুজ-মেরুন শিবিরের খবর, অনুশীলন করলেও জোসেবা সম্পূর্ণ চোটমুক্ত বলা যাবে না। গোড়ালি এখনও ফুলে রয়েছে। তাই ঝুঁকি না নিয়ে বরফ লাগাতে বলা হয়েছিল স্প্যানিশ তারকাকে। দ্বিতীয়ত, ম্যাচ শুরু হবে আটচল্লিশ ঘণ্টা পরে। তাই এখনই হাল ছেড়ে দেওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে চোট পাওয়া আর এক মিডফিল্ডার শেখ সাহিল সম্পূর্ণ সুস্থ।
মোহন বাগান সমর্থকদের জন্য সুখবর, প্রায়এক সপ্তাহ পর মোহন বাগানের চার স্প্যানিশ খেলোয়াড় সোমবার এক সঙ্গে পুরোদমে প্র্যাকটিস করলেন। চার স্প্যানিশই হ্যামস্ট্রিং কিংবা কুঁচকির চোটের জন্য পুরোদমে প্র্যাকটিস করতে পারছিলেন না। বেইতিয়া গত শুক্রবার সকালে মোহন বাগান মাঠে প্র্যাকটিস করে ফ্ল্যাটে ফেরার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেদিন দুপুর থেকে প্রবল বৃষ্টি হলেও শুক্রবার সকালে প্রচণ্ড গরম ছিল। বুধবার রিয়াল কাশ্মীর ম্যাচ সাড়ে সাতটায় শুরু হবে। তাতে মোহন বাগানে স্বস্তি। কিবু চাইছেন সেদিন বিকেলে যেন বৃষ্টি না হয়। আগে সেপ্টেম্বরে শিল্ডের খেলার সময়ে মোহন বাগান- ইস্ট বেঙ্গলের কোচরা বৃষ্টি চাইতেন। কারণ তখন স্থানীয়রা ছিলেন দলের নিউক্লিয়াস। এখন আনকোরা বিদেশিরাই ভরসা।
কারণ বুধবার বিকেল তিনটেয় ইস্ট বেঙ্গল-গোকুলাম ম্যাচ। সেই ম্যাচে বৃষ্টি হলে মাঠ বেহাল হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যদিও দুটি ম্যাচের সাড়ে চার ঘণ্টার ব্যবধান আছে। ইস্ট বেঙ্গল-গোকুলাম ম্যাচ টাই-ব্রেকারে গেলেও খেলা শেষ হবে ছ’টার মধ্যে। মাঠ ঠিক করার জন্য এক ঘণ্টা সময় হাতে রেখেছে স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ। একটি টিকিটেই দুটি ম্যাচ দেখা যাবে বলে ডুরান্ড কাপের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে। গোকুলাম দলে আছেন ক্রিজো, বাজি আর্মান্ড ও লাভডে’র মতো খেলোয়াড়। হামিদ- দানিশের সঙ্গে বাংলার ঋত্মিক দাসও ভালো খেলছেন।