শেষরক্ষা হল না! বেশ কিছুদিন পালিয়ে বেড়ানোর পরে অবশেষে গতকাল পুলিশের জালে ধরা পড়লেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের ভাগ্নে রাতুল পুরি। রাতুলের বিরুদ্ধে প্রায় ৩৫৪ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এই একই মামলায় রাতুল, তাঁর মা নীতা পুরী ও দীপক পুরী-সহ অন্যদের নামে একটি এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। সোমবার রাতুল পুরির সঙ্গে সম্পর্কিত ৬টি জায়গায় তল্লাশিও চালায়। আজ মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে।
সূত্রের খবর, গত ১৬ আগস্ট সেন্ট্রাল ব্যাংক কর্তৃপক্ষের তরফে একটি অভিযোগ করা হয়। তাতে উল্লেখ করা হয়েছিল যে রাতুল পুরি ও ইলেকট্রনিক সংস্থা মোজার বিয়ারের চার ডিরেক্টর ৩৫৪ কোটি টাকা জালিয়াতি করেছেন। তারপরই আলাদা ভাবে তদন্তে নামে ইডি ও সিবিআই। তদন্তে উঠে আসে রাতুল ২০১২ সালে ওই কোম্পানির এগজিকিউটিভ ডিরেক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। কিন্তু, তাঁর পরিবারের সদস্যরা স্বপদেই বহাল ছিলেন।
রাতুল পুরির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে তদন্ত চলছে। কর ফাঁকি দেওয়া থেকে শুরু করে অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড চপার কেলেংকারিতে তিনি অভিযুক্ত। সোমবার ইডি দিল্লির আদালতে বলে, রাতুল পুরি গ্রেফতারি এড়াচ্ছেন। তার আগে শনিবার কমলনাথের ভাগ্নে আদালতে বলেন, তিনি তদন্তে সহযোগিতা করতে চান। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করতে হবে।
অভিযোগ, ২৬ জুলাই রাতুল পুরি তদন্তকারীদের হাত ফসকে পালিয়ে যান। তাঁকে জেরা করা হচ্ছিল। এমন সময় তিনি বলেন, বাথরুমে যেতে চান। সেখান থেকে তিনি পালিয়ে যান। তারপরে ৪৭ বছর বয়সী ওই ব্যবসায়ী আদালতে আর্জি জানান, তাঁকে যেন গ্রেফতার না করা হয়। গত ৬ অগাস্ট তাঁর আগাম জামিনের আবেদন নাকচ হয়ে যায়। তবে কোর্ট বলে সোমবার অবধি তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হল।
রাতুলের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআরে উল্লেখ করা আছে, এমবিআইএল অভিযোগকারী ব্যাংকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এভাবে নিজেরা লাভ করে সাধারণ মানুষের টাকায় চলা ব্যাংকের লোকসান করিয়েছে। তবে রাতুলের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে। ৩৬০০ কোটি টাকার ভিভিআইপি চপার কেনায় ঘুষ নেওয়া অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।