২০১৭ সালের ১১ জুলাই তাঁর হাতেই হয়েছিল শিলান্যাস। অবশেষে দীর্ঘ দু’বছরের প্রতীক্ষার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই উদ্বোধন হতে চলেছে দীঘার বহু প্রতীক্ষিত বিশ্বমানের কনভেনশন সেন্টারের। আজ সোমবার ১৯ আগস্ট দীঘা সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর আগামীকাল ২০ আগস্ট রয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও সেখানে উপস্থিত থাকবেন শিল্প-বাণিজ্য মহলের বিশিষ্টজনেরা। অনুষ্ঠানের পর সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। তাই ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের তরফে চলছে দীঘাকে ঢেলে সাজানোর কাজ ৷
প্রসঙ্গত, সৈকতনগরী দীঘার মুকুটে নতুন পালক এই আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার। রাজ্যের নগররোন্নয়ন দফতরের উদ্যোগে বাংলা-উড়িষ্যার সীমান্ত উদয়পুরের কাছে রতনপুর মৌজায় দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের ৫.৫ একর খাস জায়গার উপর গড়ে উঠেছে এই কনভেনশন সেন্টার৷ খরচ হয়েছে প্রায় ৭৫ কোটি টাকা৷ এখানে যেমন এক হাজার আসনবিশিষ্ট বাতানুকূল অডিটরিয়াম থাকছে। তেমনি রয়েছে ৩০০ আসনের কনফারেন্স রুমও। থাকবে উন্নত মানের ফুড কর্ণার, মাল্টি ফেসিলিটি রেস্তরাঁ এবং গাড়ি পার্কিং ও টেলি যোগাযোগেরও উন্নত ব্যবস্থাও।
শুধু তাই নয়। ভিআইপি লাউঞ্জ, সুইমিং পুলের পাশাপাশি এখানে রয়েছে অতিথি আপ্যায়নের জন্য ৫৬টি গেস্ট রুম। যার মধ্যে ৫১টি টুইন বেডরুম ছাড়াও ১৪টি স্যুট রয়েছে। সঙ্গে থাকছে, ককটেল স্পা ব্লক, চিলড্রেন পার্ক, জিম, ব্যাঙ্কোয়েট হল, সেমিনার হল, ফোর স্টার হোটেল, ঝাঁ চকচকে শৌচালয়। যেখানে ২৪ ঘণ্টা পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থাও থাকবে। এছাড়া আরও উন্নত ধরনের নানা পরিকাঠামো থাকবে। যেখানে প্রশাসনিক বৈঠকও যেমন করা যাবে, তেমনই দেশ-বিদেশের বণিক মহলও এখানে সভা করতে পারবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গেছে, কনভেনশন সেন্টার পরিচালনার জন্য কোনও সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। কনভেনশন সেন্টারের ভাড়া কত হবে, অনলাইন বুকিং, নাকি স্পট বুকিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের পরই সে সবকিছু চূড়ান্ত হবে। কাঁথির সংসদ সদস্য তথা দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান শিশির অধিকারী বলেন, এটি মুখ্যমন্ত্রীর সাধের প্রকল্প। দীঘাকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য বহুদিন ধরেই চেষ্টা করে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশ্বমানের এই কনভেনশন সেন্টার দীঘাকে সাজানোর উদ্যোগকে অনেক ধাপ এগিয়ে দেবে।